ফাইল : আমেদাবাদে বৃষ্টি, ছবি - আইএএনএস
আন্দামান সাগরে জন্ম নেওয়া ঘূর্ণাবর্তটি ক্রমশ পশ্চিম দিকে সরে আস্তে আস্তে বঙ্গোপসাগরের ওপরই নিম্নচাপের চেহারা নিচ্ছে। যা শনিবারের মধ্যে নিম্নচাপের চেহারা নিয়ে আরও শক্তি বাড়াবে।
রবিবার তা গভীর নিম্নচাপের চেহারা নেবে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। এরপর তা সাগরের ওপরই একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে আগামী ২৪ অক্টোবর কালীপুজোর দিন।
সোমবার কালীপুজো, দিওয়ালী। তার ২ দিন পর ভাইফোঁটা। কার্যত শনিবার থেকেই রাজ্য জুড়ে উৎসবের আবহ তৈরি হয়ে যাবে। সেখানে এমন একটা ঘূর্ণিঝড় সব মাটি করে দেবে না তো! এ নিয়ে একটা উদ্বেগ তো ছিলই। আর সেই উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিল আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস।
এই ঘূর্ণিঝড়টি নিয়ে ওড়িশা সরকারও উদ্বেগে ছিল। তারা আগেভাগেই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি বৈঠক করে। কিন্তু আবহাওয়া দফতর তাদের অনেকটা নিশ্চিন্ত করে জানিয়ে দিয়েছে ওড়িশা নয়, ঘূর্ণিঝড়টি ধেয়ে আসতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দিকে। ফলে যা তাণ্ডব করার তা এখানে করবে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং যদি পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে কালীপুজোর সময়, তাহলে কিন্তু এখানে প্রবল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।
তবে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে ঘূর্ণিঝড়টি কালীপুজোর দিন নয়, তার পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার স্থলভাগে প্রবেশ করবে। কিন্তু তার জেরে বৃষ্টি আগেই শুরু হয়ে যাবে।
মৎস্যজীবীদের রবিবার থেকেই সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্রে থাকা মৎস্যজীবীদের শনিবারের মধ্যে ফিরতে বলা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা