State

রাতে আছড়ে পড়ল রেমাল, অন্ধকারে উপকূলে তাণ্ডব, শহরে ঝড়বৃষ্টি

রাতেই আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। যা স্থির ছিল প্রায় সেই সময়ই তা স্থলভাগে প্রবেশ করে। তারপরই শুরু হয় তাণ্ডবলীলা।

Published by
News Desk

যা আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল সেটাই হল। রাতেই বাংলাদেশের মোংলা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সব মিলিয়ে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে রেমাল স্থলভাগে প্রবেশ করে। যার জেরে রাতে উপকূল জুড়ে তাণ্ডব শুরু হয়ে যায়।

উত্তাল সমুদ্র, প্রবল ঝড়, অঝোরে বৃষ্টিতে এক ধ্বংসলীলাই প্রত্যক্ষ করা গেছে। রাতের অন্ধকার থাকায় পুরো ক্ষয়ক্ষতি পরিস্কার নয়। তবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে রেমালের প্রভাব ছিল অতি ভয়ংকর। সমুদ্রে ঢেউ অনেকটাই ফুলে ফেঁপে ওঠে।

এদিকে উপকূল বলেই নয়, কলকাতা শহরেও রাত থেকে যে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয় তা চলতে থাকে। বিকেল থেকে যে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট ছিল তা বাড়তে শুরু করে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটও বাড়তে থাকে।

রাত ১২টার পর রেমালের মূল অংশ তার চোখ ঢুকে পড়ে স্থলভাগে। তার আগেই রেমালের মাথাটা প্রবেশ করেছিল। তারপর ক্রমে রেমাল ঢুকতে শুরু করে। প্রচুর গাছ ভেঙে পড়ে। অনেক কাঁচা বাড়ির ক্ষতি হয়।

এ রাজ্যে রেমালের দাপটে দুই ২৪ পরগনায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন সোশ্যাল মিডিয়া মারফত সকলকে বাড়িতে সুরক্ষিতভাবে থাকার পরামর্শ দেন। আশ্বাস দেন এ ঝড় কেটে যাবে।

সুন্দরবনে ঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। যেহেতু মধ্যরাত পর্যন্ত ঝড়ের প্রবেশ, তাই রাতে উঠেপড়ে লেগে উদ্ধারকাজ সামাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ধরনের ঝড়ে ঝড় চলে গেলে তবেই পদক্ষেপ করা সম্ভব হয়। এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। যেহেতু বাংলাদেশ দিয়েই স্থলভাগে প্রবেশ করে রেমাল, তাই সেখানে ব্যাপক তাণ্ডব ছিল স্বাভাবিক। আর সেটা হয়েছেও।

Share