National

স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড় ফেনজলের তাণ্ডব, স্তব্ধ জনজীবন, বাংলায় ৪ জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস

স্থলভাগে প্রবেশ করেই তাণ্ডব শুরু করে ঘূর্ণিঝড় ফেনজল। যার জেরে স্তব্ধ জনজীবন। এদিকে এর জেরে বাংলার ৪ জেলায় রবিবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস।

গতি ধীর থাকায় শনিবার যেন তার অপেক্ষায় রইল আবহাওয়া দফতর। কখন যে আছড়ে পড়বে তার অপেক্ষা ছিল। অবশেষে সন্ধেয় আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় ফেনজল। তামিলনাড়ু পুদুচেরি উপকূলে আছড়ে পড়ে সেটি।

ক্রমে তারপর তা স্থলভাগে প্রবেশ করতে থাকে। প্রবল ঝড় আর বৃষ্টির জেরে গত ৩ দিন ধরেই বিপর্যস্ত চেন্নাই সহ তামিলনাড়ু উপকূল। একইভাবে নাজেহাল ছিল পুদুচেরি ও দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় এলাকা।


ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে জন্ম নেওয়ার পর তা স্থলভাগের দিকে এগিয়েছে অত্যন্ত ধীর গতিতে। অবশেষে শনিবার সন্ধেয় তা আছড়ে পড়ে। চেন্নাই শহর সম্পূর্ণ জলমগ্ন। স্কুল, কলেজ সবই বন্ধ। কাজকর্ম কার্যত লাটে উঠেছে।

এক পরিযায়ী শ্রমিক একটি এটিএম থেকে টাকা তুলতে গেলে সেখানে জমা জলের কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। জমা জলে ভাসতে দেখা যায় তাঁর দেহ।


এদিকে একটানা প্রবল বৃষ্টি চেন্নাই শহরকে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই চেন্নাই বিমানবন্দর স্তব্ধ। কোনও বিমান ওঠানামা করতে পারেনি। বহু যাত্রী এর জেরে সমস্যায় পড়েন। ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটেছে।

বানভাসি চেন্নাই শহরে পরিবহণ ব্যবস্থার শোচনীয় অবস্থা। চেন্নাই ও তার আশপাশের সমুদ্রসৈকতগুলি বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফেনজল স্থলভাগে প্রবেশের পর তা তাণ্ডব চালালেও এখনও ক্ষয়ক্ষতি পরিস্কার নয়।

ফেনজলের প্রভাব সরাসরি বাংলার ওপর পড়েনি। বাংলা থেকে অনেক দূরে সে স্থলভাগে প্রবেশ করেছে। তবে এর জেরে কিছু মেঘ দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করেছে। তার জেরেই শনিবার আকাশ ছিল মেঘলা। বৃষ্টি হয়েছে কমবেশি।

রবিবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে ৪ জেলার জন্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ২ মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button