বাগদত্তা বেশি খান, বিয়ে ভেঙে আদালতে গেলেন যুবক
হবু স্ত্রী বেশি খান। এমন এক আশ্চর্য করে দেওয়া অভিযোগকে সামনে রেখে বিয়ে ভেঙে দিলেন যুবক। সেই সঙ্গে খরচ করা টাকা ফেরত চেয়ে আদালতেও গেলেন।
এক যুবকের কাণ্ড ইন্টারনেটে কার্যত ঝড় তুলে দিয়েছে। নেটিজেনদের প্রশ্নের মুখে পড়েছে ভালবাসা এবং বিশ্বাসের স্থায়িত্বের বিষয়টি। এক যুবক যুবতীর পরিচয় হয়েছিল ম্যাট্রিমোনিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। একসময় তাঁরা বিয়ে স্থির করেন। এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল।
সমস্যার সূত্রপাত হয় যখন যুবক তাঁর প্রাক্তন বাগদত্তার বিরুদ্ধে আদালতে যান। চিনের ওই যুবতীর পেছনে এতদিন ধরে ওই যুবক ৩০ হাজার ইউয়ান খরচ করেছিলেন। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা।
কন্যাপণ হিসাবে যুবতীর পরিবারকে আরও ২০ হাজার ইউয়ান দিয়েছিলেন যুবক। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা। এই পুরো টাকা ফেরত চান ওই যুবক। আদালতে শুনানি চলাকালীন যুবক জানান তাঁর পরিবারের রেস্তোরাঁর ব্যবসা রয়েছে। যেখানে চিনের জনপ্রিয় খাবার মালাতাং বিক্রি হয়।
বাগদত্তা থাকাকালীন তাঁর হবু স্ত্রী সেই রেস্তোরাঁয় যোগ দেন। প্রায় ৬ মাস তিনি কাজও করেন। তবে যৎসামান্য কাজ করার বদলে তিনি প্রচুর খেতেন। যার মধ্যে চিনের জনপ্রিয় খাবার মালাতাং ছিল ওই যুবতীর রোজকার খাবার। এ নিয়ে যুবক ও যুবকের পরিবারের মধ্যে বিরক্তি জন্মেছিল। অতিরিক্ত খাওয়া ছাড়াও যুবতীর ব্যবহারেও ক্রমশ বদল হয় বলেই দাবি করেছেন ওই যুবক।
এইসব নানা কারণে ওই যুবক বিরক্ত হয়ে সম্পর্কে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেন। সম্পর্কটি আর বিয়ে পর্যন্ত গড়াক তা তিনি চাননি। উপরন্তু তিনি উপহার ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যা ওই যুবতীকে কিনে দিয়েছিলে তার টাকা ফেরত চান।
আদালতে ওই যুবক উপহার সামগ্রি কেনার টাকা এবং কন্যাপণের টাকা ফেরত চেয়ে দরবার করেন। কিন্তু ওই যুবতী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। ২ পক্ষের কথা শোনার পর আদালত জানায় উপহারের মূল্য ফেরত হবেনা। তবে যুবককে কন্যাপণের অর্ধেক টাকা ফেরত দিতে হবে যুবতীকে।













