মুখ দিয়ে মুখ ঢেকে অফিস কাটার চেষ্টা ধরিয়ে দিল অন্য ক্যামেরা
প্রতিদিন সময়ে অফিস যাওয়া। ছুটি হলে বাড়ি ফেরা। কিন্তু সময় কমিয়ে মুখ দিয়ে মুখ ঢেকে অফিস কাটার পথ পরিস্কার করেও শেষরক্ষা হল না।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অফিসে ঢোকার সময় কর্মীদের আসল নাটকটা শুরু হয়। অধিকাংশ সময়েই হয় কেউ নিজের পরিচয়পত্র ভুলে যান। আবার কখনও সবকিছু ঠিক থাকা সত্ত্বেও দেরিতে পৌঁছনোর কারণে দরজা দিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়তে থাকেন।
সম্প্রতি একটি দেশের কিছু মানুষ তাঁদের কর্মক্ষেত্রে বড় ধরনের জালিয়াতি করেছেন। অফিসে অনুপস্থিত থেকেও মিথ্যে উপস্থিতি দেখাতে গিয়ে তাঁরা বড্ড বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন। ধরা পড়ার ভয় একদম যে ছিলনা তা নয়। তবু চেষ্টা করে দেখলেন যদি সফল হতে পারেন।
মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে। না এখানে কোনও বিজ্ঞাপন নয়। বরং মুখ ঢেকেছে রঙিন মুখোশ বা মাস্কে। চিনের ঝেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনঝোউ শহরের প্রতিবেশি সমিতি। যে সমিতির কর্মীরা মূলত প্রশাসনের তৃণমূল স্তরে কাজ করেন।
চিনের এই প্রতিবেশি সমিতির কর্মীদের কাজটা বেশ অভিনব। তাঁরা প্রধানত কোনও এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সংযোগ স্থাপন করেন। এই কর্মীরা কোনওভাবেই বেতনভুক সরকারি কর্মচারি নন। তবে তাঁরা নিজেদের কাজের জন্য একটি ভাতা পান।
অফিসটির প্রবেশপথে ফেসিয়াল রিকগনিশন পদ্ধতি রয়েছে। অফিসের কর্মচারিরা বেশ কিছুদিন ধরে এই পদ্ধতিকে বোকা বানিয়ে কাজে ফাঁকি দেওয়ার একটি নতুন রাস্তা বার করেন।
প্রথমে তাঁরা কোনও এক সহকর্মীর মুখের ছবি ছাপিয়েছেন। তারপর নিজের মুখের আকারে সেই ছবিটি কেটে বসিয়েছেন। শেষে মাস্কে মুখ ঢেকে অফিসেও ঢুকে পড়ছেন।
এভাবে একজন মানুষই বারবার বিভিন্ন কর্মচারির ছদ্মরূপে অফিসে প্রবেশ করতে থাকেন। এক ব্যক্তি বিষয়টি লক্ষ্য করে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেন। তখন প্রবেশপথে অন্য একটি ক্যামেরা লাগানো হলে বিষয়টি ধরা পড়ে। কতজন এভাবে কাজে ফাঁকি দিয়েছেন তা জানা না গেলেও দফতরের অধিকাংশই এর সাথে জড়িত বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।













