২০১৫ সালে অনলাইনে অর্ডার দেওয়া জিনিস ২০২৫ সালে হাতে পেলেন এক মহিলা
অনলাইনে একটা অর্ডার দেওয়ার পর ১০ বছর লেগে গেল অর্ডার দেওয়া জিনিসটা হাতে পেতে। অর্ডারটা যে দিয়েছিলেন সেটাই ভুলে গিয়েছিলেন মহিলা।
তাঁর খুব পুতুলের শখ। পুতুলের দোকান, প্রদর্শনীতে হাজির হতে ভাল লাগে। পুতুল তৈরিও করেন। তাই পুতুলের জন্য চোখ অর্ডার করেছিলেন অনলাইনে। তাঁর পছন্দের সেই পুতুলের চোখের অর্ডার অনলাইনে করার পর তাঁর ধারনা ছিল দ্রুত সেটা হাতে পাবেন। কিন্তু তা হয়নি।
মাসের পর মাস, এমনকি বছরও পার করে যাওয়ার পর তিনি কার্যত ভুলেই যান সেই অর্ডারের কথা। তাঁর পুতুলে তিনি এরমধ্যে অন্য চোখ লাগিয়েছেন।
এই অর্ডার আর হাতে পাওয়ার আশা যে নেই তা তাঁর কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়। কারণ অনলাইনে অর্ডার করার পর কোনও কিছু পেতে দেরি হতে পারে, তবে সেটা বছর পার করা অপেক্ষা নয়।
এদিকে বছর কাটতে থাকে। এভাবে কেটে যায় ১০ বছর। ২০২৫ সালের নভেম্বরে আচমকা তাঁর কাছে একটা ফোন আসে। ফোনের ওপার থেকে জানানো হয় তাঁর অর্ডার করা পুতুলের চোখ এসে গেছে। তিনি তা হাতে পাবেন। সেইমত একটি ডেলিভারিও আসে। যাতে তাঁর চাহিদামত পুতুলের চোখ ছিল। এমনকি একটি অতিরিক্ত চোখও ছিল।
মহিলা যে পুতুলের চোখ অর্ডার করেছিলেন তা যত্ন করে হাতে বানাতে হয়। হাতে তৈরি সেই কাজ আবার নির্ভর করে থাকে কাঁচামালের যোগানের ওপর। সব মিলিয়ে সময় কিছুটা লেগে যায় বলেই দাবি করেছে ডেলিভারি সংস্থা। তবে সেটা এতদিন!
১০ বছর পর তো তার প্রয়োজনই মিটে যায়! এখন ওই চিনা মহিলা ভাবছেন এই পুতুলের চোখগুলো নিয়ে তিনি কি করবেন। চিনে ঘটা এই ঘটনার কথা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বিশ্বের অনেক সংবাদমাধ্যমেই প্রকাশিত হয়েছে।













