বাড়ির চারধারে হাঁটার জন্য বসানো পাথর আসলে অমূল্য সম্পদ, জেনে অবাক বাড়ির মালিক
২ ভাই তাঁদের বাড়ির চারধারে হাঁটাচলার জন্য পাথর বসিয়েছিলেন। সে পাথর যে আসলে সোনার চেয়েও মূল্যবান তা জানলেন এতদিনে।
১৯৯৩ সালে তাঁরা বাড়ির চারধারে হাঁটার জন্য পাথর বসিয়েছিলেন। সবুজের মাঝে মাঝে পাথরের টুকরো বসিয়ে বাড়ির চারধারকে দেখতেও সুন্দর করা যায়। আবার সরাসরি ঘাসের ওপর পা না দিয়ে পাথরগুলির ওপর পা ফেলে বাড়ির চারধারে হাঁটাও যায়। এভাবে বাড়ির সামনে পাথরের টুকরো মাঝেমাঝে বসিয়ে বাড়িকে আরও সুন্দর করে তোলার চেষ্টা অনেক জায়গাতেই দেখতে পাওয়া যায়।
তখন যখন আশপাশ থেকে পাথরের টুকরো জোগাড় করে বাড়ির চারধারে তাঁরা বসিয়েছিলেন তখন তাঁদের জানাও ছিলনা তাঁরা আসলে কি বসাচ্ছেন! ৩০ বছর পার করে এখন সেগুলির কথা বইতে ছাপা হল।
তার আগে সেই পাথরের ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছিলেন ওই বাড়ির এক সদস্য। বাড়ির আশপাশে বসানো পাথরের টুকরো দিয়ে সৌন্দর্যায়নের ছবি প্রকাশ যেমন ছিল উদ্দেশ্য, তেমনই পাথরগুলি সম্বন্ধে জানতে চাইছিলেন ওই তরুণী।
জানতেও পারেন। স্থানীয় এক মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ সেই ছবি খতিয়ে দেখার পর ওই পাথরের টুকরো বাড়ির মালিকের কাছে অনুমতি নিয়ে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায়।
সম্প্রতি একটি বইতে পাথরগুলির ইতিহাস ছাপা হয়েছে। তাতে বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন বাড়ির চারধারকে সুন্দর করে সাজাতে এবং পা ফেলার সুবিধা করতে বসানো ওই অবহেলার পাথরগুলির ওপর দিয়ে ১৯ কোটি বছর আগে হাঁটাচলা করত ডাইনোসরেরা। তাদের পায়ের ছাপ রয়েছে প্রতিটি পাথরে।
পাথরে দাগ দেখতে পেলেও তা যে ডাইনোসরের পায়ের ছাপ তা একেবারেই বুঝতে পারেননি ওই বাড়ির মালিকেরা। ফলে তাঁরা অবহেলায় সাধারণ পাথরের মত সেগুলি বাড়ির চারধার সাজাতে কাজে লাগান।
চিনের সিচুয়ান প্রদেশের উলি গ্রাম থেকে এই পাথরের টুকরোগুলো উদ্ধার করা হয়। সেগুলি কয়েক বছর আগেই পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এবার সেগুলি সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য সামনে আনা হল। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।













