World

এই গতিতেও ট্রেন চলা সম্ভব, দেখিয়ে দিল নতুন আবিষ্কার, হতবাক বিশ্ব

এখন জীবনটাই গতির। পিছিয়ে পড়লে ফেরার সুযোগ কম। সেখানে যাতায়াতের সময়টা কমানো প্রয়োজন। তারই পথ খুলে দিল একটি অবিশ্বাস্য ট্রেন।

অবিশ্বাস্য লাগলেও এটাই সত্যি। এই দেশটি বারবারই নিজেদের উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে গোটা বিশ্বকে হতবাক করে দেয়। এবারও তার অন্যথা হয়নি। এবার তাদের ঝুলি থেকে বেরিয়েছে সাড়া জাগানো এক আবিষ্কার। ট্রায়াল পর্বেই তারা মাত করে দিয়েছে সকলকে।

চিন এবার তাদের উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আবিষ্কার করল পৃথিবীর দ্রুততম বুলেট ট্রেন। ট্রেনটির নম্বর ‘সিআর৪৫০’। ট্রায়াল পর্বে ট্রেনটিকে সাংহাই থেকে চেংদু পর্যন্ত দ্রুতগতির রেললাইনে চালানো হয়েছে। এই ৪৫৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে ট্রেনটির মাত্র ১ ঘণ্টা সময় লেগেছে।

একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে ট্রায়াল পর্বে ট্রেনটি ৪৫০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ এক ঘণ্টায় অতিক্রম করলেও সাধারণভাবে এটি ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার বেগে চলবে। সিআর৪৫০ ট্রেনটি তৈরি করার সময় ইঞ্জিনিয়াররা বাতাসের বাধা কমানোর বিষয়টিকেই অগ্রাধিকার দেন।

ট্রেনটির এমন নজিরবিহীন গতি সৃষ্টি করার জন্য কিছু বিশেষ ধরনের নকশা রয়েছে। এর নোজ কোন বা সামনের অংশটি সাধারণ ট্রেনের তুলনায় অনেক বড়। অন্যান্য ট্রেনের ক্ষেত্রে যেখানে নোজ কোনটির মাপ হয় ৪১ ফুট সেখানে সিআর৪৫০-র নোজ কোন ৪৯ ফুটের। যা বাতাসের বাধা কমায়।

ট্রেনটির কামরাগুলি পুরোপুরি আবদ্ধ ধরনের। বগির নিচে উচ্চমানের স্পোর্টস কারের মত ‘লোয়ার স্কার্ট প্যানেল’ বানানো হয়েছে। এছাড়া ট্রেনটির উচ্চতা এবং ওজন ২টোই অন্যান্য ট্রেনের চেয়ে অনেক কম হওয়ায় এর কর্মক্ষমতা এত বেশি।

ট্রেনটির গতি পরীক্ষা করার জন্যে বিপরীতমুখী ২টি সিআর৪৫০-কে একসাথে চালানো হয়। তাতে দেখা যায় একে অন্যকে অতিক্রম করার সময় ট্রেন ২টির মিলিত গতি হয় ঘণ্টায় ৮৯৬ কিলোমিটার।

চলন্ত ট্রেনের ভিতর থেকে বাইরেটা পুরো ঝাপসা দেখায়। ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে গবেষণার পর চিন এই অবিশ্বাস্য গতির ট্রেনকে সর্বসমক্ষে এনে বিশ্বকে চমকে দিল।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *