ডাকছে মরুভূমি, মঙ্গলগ্রহে ঘুরে আসার ইচ্ছা পূরণ করতে পারবেন সকলেই
লাল গ্রহের বিষয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিজ্ঞানী অবধি সকলের মধ্যেই একটা বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। এবার সেই মঙ্গলগ্রহে ঘোরার ইচ্ছা পূরণ হতে চলেছে।

হতে পারে মঙ্গলগ্রহ ধরাছোঁয়ার বাইরে। মঙ্গলগ্রহকে চেনার জন্য এখনও কেবল যন্ত্রই ভরসা। মানুষ তাকে ছুঁয়ে দেখার সুযোগ পায়নি। তবে সে ইচ্ছা তো সকলের মনেই রয়েছে।
বিজ্ঞানীরা তো বটেই, এমনকি সাধারণ মানুষও মঙ্গলগ্রহের মাটি ছুঁয়ে দেখার, সেখানে সময় কাটানোর সুযোগ হাতছাড়া করবেননা। কিন্তু সে সুযোগ এখনও স্বপ্নই। তবে খোদ মঙ্গলে গিয়ে ঘুরতে না পারলেও মঙ্গলে ঘোরার সুযোগটা এবার হাতের মুঠোয় এসে গেল।
পৃথিবী থেকে মঙ্গলগ্রহের দূরত্ব প্রায় সাড়ে ২২ কোটি কিলোমিটার। তাই চাইলেই যে কেউ সেখানে পৌঁছতে পারেননা। তবে সেই সাড়ে ২২ কোটি কিলোমিটার দূরত্বে থাকা মঙ্গলই বর্তমানে সকলের হাতের মধ্যে চলে এল।
এবার খুব অল্প সময়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে মঙ্গলগ্রহে। হেঁটে চলে বেড়ানো যাবে মঙ্গলের মাটিতে। এমনকি স্পেস স্যুট পরে মহাশূন্যে হাঁটার অভিজ্ঞতাও অর্জন করা সম্ভব হবে।
সম্প্রতি পৃথিবীর বুকেই মঙ্গলকে নামিয়ে এনেছে চিন। চিনের গানসু প্রদেশের জিউচ্যাঙয়ে মঙ্গলের মত ভূমিরূপ রয়েছে। ফলে প্রাকৃতিক এই অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাহায্যে গোবি মরুভূমির বুকে ৬৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে ফিউচারিসটিক বেস ক্যাম্প। তার থেকে একটু দূরেই রয়েছে উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র।
এই বেস ক্যাম্প এখন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। পর্যটকরা এখানে রকেট লঞ্চার, মহাকাশযানের ডকিং, মার্স প্রোব ও রোভারের রেপ্লিকা এবং নক্ষত্র দেখার তাঁবু ও ৩ডি প্রিন্টেড মঙ্গলগ্রহের অনুরূপ বাসস্থান দেখতে পাবেন।
সেখানে মহাকাশচারীদের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি খুঁটিয়ে দেখা থেকে শুরু করে মহাকাশচারীদের নানা অসুবিধা সবকিছুই খুব স্পষ্টভাবে বোঝা সম্ভব। সবচেয়ে বড় কথা মহাকাশ সম্পর্কে শিশু কিশোরদের জ্ঞান অর্জনের জন্যও এই জায়গাটি আদর্শ। হতে পারে মঙ্গলে যাওয়া এখন সম্ভব নয়, কিন্তু এই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটার সুযোগটাই বা কম কি!