Lifestyle

এটাও সুলভ শৌচাগার, যেখানে ঢুকলে মানুষ বেরতে চাইছেন না, বিদেশি পর্যটকরাও নয়

একটি সুলভ শৌচাগার ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু সেখানেই নাকি এখন পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ছে। কেউ একবার ঢুকলে বার হচ্ছেন না। ব্যাপারটা কি?

কোনও সুলভ শৌচাগার এত সুন্দর হতে পারে? না দেখলে বোধহয় কেউ বিশ্বাসও করতে পারবেননা। একটা সাধারণ শৌচাগারে সময় কাটাতে যে এমন হুড়োহুড়ি পড়তে পারে তা এই পাবলিক টয়লেটটি না দেখলে বোঝা যেত না।

এ টয়লেট দোতলা। ২টি তল রয়েছে। নারী ও পুরুষদের ব্যবহারের জন্য রয়েছে আলাদা টয়লেট। কিন্তু ২টি তলাতেই আলোর রোশনাই আর দেওয়ালের সাজগোজ থেকে শিল্প ভাবনা মুগ্ধ করে দেওয়ার মতন। স্থানীয় সংস্কৃতির ছাপ স্পষ্ট। শিল্প সংস্কৃতির ছোঁয়া ও আধুনিকতার মেলবন্ধনের এক অপূর্ব উদাহরণ এটি।

এ শৌচাগারে টয়লেটের সুবিধা তো রয়েছেই, তার সঙ্গে রয়েছে বিশ্রামাগার, মহিলা ও শিশুদের কাটানোর জন্য আলাদা জায়গা, চাইলে একটু বসে নেওয়ার জন্য চেয়ার টেবিল পাতা আছে, আবার বৃদ্ধ ও বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য রয়েছে নানা সুবিধার বন্দোবস্ত। এছাড়া আগতদের জন্য রয়েছে পানীয় বণ্টন ব্যবস্থা।

একটা বাজারের মধ্যেই ২টি তল নিয়ে তৈরি হয়েছে এই শৌচাগার। চিনের গানসু প্রদেশের দুনহুয়াং নামে জায়গায় এই টয়লেট এখন এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে স্থানীয়রা সহ চিনের অন্য জায়গার বাসিন্দারা তো বটেই, এমনকি বিদেশি পর্যটকরাও এই শহরে হাজির হচ্ছেন এই টয়লেটে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য।

গত ১৬ অগাস্ট এই সাধারণ শৌচাগারটি চালু হয়েছে। আর এরমধ্যেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে তার সুখ্যাতি। এ টয়লেটে প্রবেশ করলে কারও বেরিয়ে আসতেই ইচ্ছা করবেনা।

এদিকে টয়লেট ব্যবহারকারীদের জন্যও রয়েছে ডিজিটাল সতর্কতা। কেউ যদি টয়লেটে ৫ মিনিটের বেশি কাটান তাহলে ডিজিটাল বোর্ডে একটি বিশেষ রংয়ের আলোয় তাঁর প্রবেশের সময় দেখিয়ে তাঁকে সতর্ক করা হচ্ছে। অনেকের মতে এত সুন্দর সাধারণ শৌচাগার নাকি তাঁরা দেখেননি। খবরটি সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *