৬ দিন ধরে পাহাড়ে উদ্দেশ্যহীনভাবে হেঁটে বেড়ালেন যুবক, কারণ জানলে চোখ জলে ভরবে
এই যুবকের কাহিনি অনেকের চোখ জলে ভরিয়ে দিতে পারে। সঙ্গে জল নেই, খাবার নেই। এক কাপড়ে পাহাড়ে পাহাড়ে ৬ দিন ধরে উদ্দেশ্যহীনভাবে হেঁটে চললেন তিনি।

সঙ্গে জল নেই। নেই কোনও খাবার। যোগাযোগের উপায় নেই। কারণ মোবাইল ফেলে রেখে গেছেন। পরনের পোশাক ছাড়া সঙ্গে কিছুই নেই। এভাবেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। পৌঁছে যান কাছের পাহাড়ি এলাকায়।
সেখানে পাহাড়ে পাহাড়ে হাঁটতে শুরু করেন। কোথায় যাবেন জানা নেই। কবে এই হাঁটা শেষ হবে তাও অজানা। তিনি শুধু হেঁটে চলেছেন। দিন নেই, রাত নেই, তিনি হাঁটছেন।
ওই যুবক যে বাড়িতে নেই তা তাঁর ভাই জানতে পারেন। খোঁজাখুঁজির পরও তাঁকে না পেয়ে তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেখে মোবাইল ফোনটাও ফেলে খালি হাতে বাড়ি ছাড়ছেন যুবক। সেটা সিসিটিভি-তে দেখা যায়। কিন্তু কোথায় গেলেন তিনি? তার হদিশ পাওয়া যায়নি।
দিন কাটতে থাকে। পুলিশও নানা জায়গায় খোঁজ চালাতে থাকে। এভাবেই ষষ্ঠ দিনে পুলিশ ওই যুবকের খোঁজ পায়। একটি পাহাড়ে তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়।
প্রথম ৩ দিন তিনি জলও পান করেননি। খাবারও খাননি। তারপর অবশ্য কতক বাধ্য হয়েই পাহাড়ে ঝর্ণার জল পান করেন। গাছে যা ফল পান তাই খান।
কিন্তু কেন ওই যুবক নিজেকে এভাবে স্বেচ্ছায় কষ্ট দিলেন? এর পিছনে রয়েছে এক করুণ প্রেমের কাহিনি। ওই যুবককে তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমিকা ছেড়ে চলে যান। তাঁদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
প্রেমিকার এই ছেড়ে চলে যাওয়াটা তিনি কিছুতেই সহ্য করতে পারছিলেননা। প্রেমিকাকে ভুলতেও পারছিলেননা। তাই যুবক স্বদিচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে পাহাড়ে চলে যান।
ঠিক করেছিলেন প্রকৃতির মাঝে পাহাড়ে পাহাড়ে এভাবে হাঁটতে থেকে তিনি ভুলে যাবেন তাঁর প্রেমিকাকে। আর যতদিন না ভুলছেন ততদিন হাঁটতে থাকবেন।
ঘটনাটি চিনের। হাংঝু-র বাসিন্দা ওই যুবকের কাহিনি সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তারপর অনেক সংবাদমাধ্যমেই এই খবর নজর কেড়েছে। চিনা সমাজ মাধ্যমেও আলোড়ন ফেলে ওই যুবকের হেঁটে চলা।