২ ঘণ্টা ধরে দোকানদারকে দিয়ে টাকা গুনিয়ে কিছু না কিনে বেরিয়ে এলেন মহিলা
দোকানের কর্মচারিদের তাঁর দেওয়া টাকা গুনতে ২ ঘণ্টা লেগে যায়। কিন্তু তারপর সেই টাকা নিয়ে কিছু না কিনেই দোকান ছাড়েন এক মহিলা। অবশ্যই অকারণে নয়।
তিনি তাঁর এক বন্ধুকে সঙ্গে করে হাজির হন বিখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড লুই ভিতোঁ-র একটি দোকানে। হাতে একটি ব্যাগ। যে ব্যাগে রয়েছে প্রচুর কাগজি নোট। তিনি দোকানে গিয়ে জিনিসপত্র বার করিয়ে দেখেন। পোশাক ঠিক হচ্ছে কিনা তা জানতে ট্রায়ালও দেন। অনেকগুলি জিনিস পছন্দও করেন।
লুই ভিতোঁ মানে এটা পরিস্কার যে তার দাম যথেষ্টই। মহিলা এরপর হাজির হন ক্যাশ কাউন্টারে। তারপর নোট ভর্তি ব্যাগ এগিয়ে দেন গোনার জন্য। চিনে যেহেতু ঘটনাটি ঘটেছে তাই ওই মহিলার হাতে ছিল চিনা মুদ্রা ইউয়ান।
৬ লক্ষ ইউয়ান গোনার জন্য এগিয়ে দেন তিনি। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৭০ লক্ষ টাকার সমান। বড় খদ্দের ভেবে দোকানের ক্যাশে থাকা কর্মচারিরা নোট গোনা শুরু করেন। এই ৬ লক্ষ ইউয়ান গুনে উঠতে তাঁদের ২ ঘণ্টা কেটে যায়।
তারপরই তাঁদের হতবাক করে ওই মহিলা ইউয়ানগুলি ফেরত নিয়ে ব্যাগে পুরে জানিয়ে দেন তিনি তাঁর মত বদলেছেন। তিনি কিছুই কিনবেন না। এই বলে দোকান থেকে বেরিয়েও যান। কিন্তু কেন এমন কাণ্ড করলেন তিনি? আসলে এই কাণ্ড পূর্ব পরিকল্পিত। আর তা তিনি করেন প্রতিশোধ নিতে।
ওই মহিলা মাস ২ আগে লুই ভিতোঁ-র ওই দোকানটিতে গিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, সেদিন তাঁর সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেন দোকানের কর্মচারিরা। একটা তাচ্ছিল্য ভাব ছিল তাঁদের ব্যবহারে।
এমনকি পানীয় জল চাইলেও তা না শোনার ভান করেন দোকানিরা। দোকানে যেটুকু সময় তিনি ছিলেন কার্যত তাঁকে অপমানই সহ্য করতে হয়। দোকান থেকে বেরিয়ে তিনি ওই ফ্যাশন ব্র্যান্ডটির সদর দফতরে অভিযোগও করেন। কিন্তু কোনও উত্তর আসেনি।
এই অপমানের মধুর প্রতিশোধ কীভাবে নেওয়া যায় তা তারপর থেকেই ভাবতে শুরু করেন তিনি। অবশেষে টাকা গুনিয়েও জিনিস না নিয়ে তিনি প্রতিশোধটি নিলেন।
চিনের সমাজ মাধ্যমে এই খবরটি রীতিমত তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও খবর হয়েছে মহিলার কাণ্ড। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি এই কাজের জন্য বাহবাই পেয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে চিনের চংকুইং শহরে।