তিব্বতকে কাছ থেকে দেখতে চাইলে বাংলার পাশেই রয়েছে মিনি তিব্বত
তিব্বতে না যেতে পারলেও ভারতের মিনি তিব্বত থেকে ঘুরে তো আসতেই পারেন যে কেউ। তিব্বতকে কাছ থেকে পাওয়ার এ এক সুবর্ণ সুযোগ।

ঘুরতে কে না ভালোবাসে? আর তা যদি হয় তিব্বতের মত এক পবিত্র ও স্নিগ্ধ পাহাড়ি ঠিকানা তাহলে তো আর কথাই নেই। কিন্তু তিব্বতে পৌঁছনো শুধু যে সময়সাপেক্ষ তাই নয় বহু অর্থ ব্যয় করে, নিয়মের বেড়াজাল ডিঙিয়ে সেখানে যেতে হয়। তাই ইচ্ছা থাকলেও তিব্বত যাওয়া প্রায় অসম্ভব। রয়েছে চৈনিক নিষেধাজ্ঞাও।
তবে চাইলে তিব্বতে ঘোরার স্বাদ মিটতে পারে ভারতেই। তাও আবার কলকাতার খুব কাছেই। যদি কেউ একবার তিব্বতকে কাছ থেকে ছুঁয়ে দেখতে চান, ওড়িশা তাঁর সঠিক ঠিকানা হতে পারে। ওড়িশার গজপতি জেলায় অবস্থিত পাহাড়, হ্রদে ঘেরা চন্দ্রগিরি ও জিরাং এমন ২ জায়গা যা তিব্বতিদের আবাসস্থল।
বিগত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের শেষ থেকে এখানে তিব্বতিরা এসে থাকতে শুরু করেন। তাঁদের জন্য ভারত সরকার জমির বন্দোবস্ত করে দেয়। পরবর্তীকালে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত জমিতে তাঁরা একটি বড় বৌদ্ধ মঠ গড়ে তোলেন। যা বর্তমানে সমগ্র পূর্ব ভারতের মধ্যে বৃহত্তম।
যাঁরা তিব্বতি বৌদ্ধদের জীবনযাত্রা কাছ থেকে দেখতে চান, তাঁদের জন্য নিঃসন্দেহে এই জায়গা তিব্বতের সেরা বিকল্প। এই ২ জায়গায় থাকার জন্য ওই মঠকে ঘিরেই কয়েকটি বিলাসবহুল রিসর্ট গড়ে উঠেছে। যাদের কাছে খাওয়াদাওয়া থেকে থাকা এবং জায়গাটি ঘোরানোর সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে। চন্দ্রগিরিতে থাকার জন্য একটি তিব্বতি বাংলোও রয়েছে।
দর্শনীয় স্থান হিসাবে পাহাড়, উপত্যকা, হ্রদ এবং অরণ্য তো আছেই, সঙ্গে রয়েছে একাধিক জলপ্রপাত। সারাবছরই এখানে পর্যটকের সমাগম থাকে। তবে বর্ষায় জলপ্রপাতগুলির জল বেড়ে যাওয়ার কারণে সেগুলির সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পায়।
মিনি তিব্বতের নিকটবর্তী রেলস্টেশন ব্রহ্মপুর বা বেরহামপুর। হাওড়া থেকে ট্রেনে বেরহামপুর পৌঁছে সেখান থেকে গাড়িতে ৯০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করলেই এখানে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব। ছত্তিসগড়ের মাইনপাটকেও মিনি তিব্বত বা ছত্তিসগড়ের সিমলা বলে ডাকা হয়।