World

পাথরের খাঁজ থেকে বেরিয়ে এল অমূল্য ধন

তিনি সব আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। ধরেই নিয়েছিলেন যে যা যাওয়ার তা গেছে। এ আর ফেরত পাওয়া যাবেনা। কিন্তু ৩৩ বছর পর সেটাই বেরিয়ে এল পাথরের খাঁজ থেকে।

১৪ বছরের ছেলেটা মাছ ধরার জন্যই হাজির হয়েছিল জলের ধারে। জলের ধার ধরে প্রচুর পাথরের টুকরো। ঢালের মত করে রয়েছে পাথরের টুকরোগুলো। মাছ ধরতে যাওয়া ছেলেটার আচমকাই নজরে পড়ে পাথরের খাঁজে একটা কিছু দেখা যাচ্ছে। সেটাকে সে টেনে বার করে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

যেটা হাতে পায় তা প্রাথমিকভাবে সে নিজেই খতিয়ে দেখে। তারপর তার বাবার কাছে নিয়ে যায়। তার বাবা তা পরীক্ষা করার পর সোশ্যাল সাইটে বিষয়টির বিস্তারিত তথ্য দিয়ে জানান। যা একসময় নজরে পড়ে এক ব্যক্তির।

নিক চৌধুরী নামে ওই ব্যক্তির পোস্টটি দেখার পর সবকিছু মনে পড়ে যায়। ১৯৯১ সালে তিনি ঠিক ওখানেই গিয়েছিলেন মাছ ধরতে। তখন তিনিও যুবা। জলে ভিজে যেতে পারে এটা ভেবে পকেটে থাকা মানিব্যাগটি নিক রেখে দিয়েছিলেন পাথরের খাঁজে।

মানিব্যাগটির মধ্যে টাকা কিছু ছিল বটে, তবে আর যা ছিল তা অমূল্য। ছিল তাঁর জন্মের শংসাপত্র, তাঁর স্ট্যাটাস কার্ড, সোশ্যাল ইনস্যুরেন্স কার্ড এবং এমন বেশ কয়েকটি অতি গুরুত্বপূর্ণ নথি। যা হারালে বিপদ।

কিন্তু মাছ ধরার সময় জোয়ার আসা এবং তারপর অনেক চেষ্টা করেও আর পাথরের খাঁজে রাখা মানিব্যাগের খোঁজ না পাওয়া। একাধিকবার সেটা সেখানে খুঁজতে গিয়েও না পাওয়া। তারপর একসময় হাল ছেড়ে দেওয়া। সব মনে পড়ে যায় নিক চৌধুরীর।

তিনি যোগাযোগ করেন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ব্যক্তির সঙ্গে। ওই ব্যক্তি নিক চৌধুরীর সেই ৩৩ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মানিব্যাগ তাঁর হাতে তুলে দেন। যারমধ্যে তাঁর রাখা প্রতিটি নথি অক্ষত অবস্থায় ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ভ্যাঙ্কুভার দ্বীপের কোমোক্স মেরিনা-তে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button