World

গোরিলাদের আর গোরিলা থাকতে দিচ্ছেনা পর্যটকেরা, মানা করলেও শুনছে না

চিড়িয়াখানায় আসা পর্যটকেরা গোরিলাদের আর গোরিলা থাকতে দিচ্ছেনা। এটা মেনে নিতে পারছেনা চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। বারবার মানাও করা হচ্ছে।

চিড়িয়াখানায় পশুপাখি দেখতে হাজির হন অনেক পর্যটক। এভাবেই নানা পশুপাখি দেখতে দেখতে তাঁরা এসে পৌঁছচ্ছেন গোরিলাদের ঘেরাটোপের সামনে। সেখানে গোরিলারা খোলাই ঘোরে তাদের জন্য নির্ধারিত জায়গায়। তারা জালের ওপাশে হলেও পর্যটকদের কাছে এসে পৌঁছয়। আর সেখানেই গণ্ডগোল।

পর্যটকেরা মোবাইলে যেসব ছবি তুলছেন তা গোরিলাদের দিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাচ্ছেন। গোরিলারাও জেনে গেছে মোবাইলে তাদেরই ছবি দেখা যায়। অন্য ছবিও দেখা যায়।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

সেই ছবি দেখতে গোরিলারাও হাজির হচ্ছে খাঁচার সামনে। পর্যটকেরাও চুটিয়ে মোবাইল থেকে তাদের ছবি দেখাচ্ছেন। এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞেরা।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, মোবাইলে ছবি দেখতে দেখতে এমন কিছু ছবিও গোরিলারা দেখে ফেলতে পারে যা তাদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করতে পারে। যিনি দেখাচ্ছেন তাঁর মাথায় না এলেও গোরিলাটির মনের ওপর ওই ছবি প্রভাব ফেলতে পারে। যা তাদের ব্যবহার বা দিনযাপনেও প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশেষজ্ঞেরা চাইছেন গোরিলারা প্রকৃতির বুকে তাদের মতন করে থাকুক। তাদেরকে তাদের মত করে থাকতে দেওয়া উচিত। মোবাইলের ছবি তাদের জন্য নয়। তাই তা দেখিয়ে তাদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ার পথ খুলে দেওয়া অনুচিত।

মোবাইলে যাতে গোরিলাদের ছবি না দেখান টরেন্টোর ওই চিড়িয়াখানায় আসা পর্যটকেরা তারজন্য গোরিলাদের ঘেরা জায়গার পাশে নোটিসও টাঙিয়ে দিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু এখনও অনেক পর্যটক তা মেনে চলছেন না। এদিকে গোরিলাদের ভাবগতিক ও মানসিক অবস্থার দিকে কড়া নজর রাখছেন বিশেষজ্ঞেরা।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *