World

বাঁশ দেওয়ার উপায় নেই, তাই পান্ডা ফেরত

প্রত্যেকদিন বাঁশ লাগে। কিন্তু অত বাঁশ কোথায়? আনারও উপায় নেই। অগত্যা পদক্ষেপ করল চিড়িয়াখানা।

অটোয়া : বাঁশ দেওয়ার উপায় নেই। অনেক চেষ্টা করেও হচ্ছেনা। তাই যেখানে বাঁশ যথেষ্ট সেই চিনেই ফেরত পাঠানোর রাস্তায় হাঁটল কানাডা। আসলে চিন থেকে ২টি জায়ান্ট পান্ডা আনা হয়েছিল কানাডার ক্যালগারি চিড়িয়াখানায়। সেখানে বহাল তবিয়তেই ছিল তারা। পান্ডাদের পছন্দের খাবার বাঁশের যোগানও ছিল যথেষ্ট। কারণ কানাডার ওই চিড়িয়াখানায় প্রয়োজনীয় বাঁশ আসত চিন থেকে। চিন থেকে আসত টরেন্টোতে। তারপর টরেন্টো থেকে বিমানে পৌঁছত ক্যালগারি চিড়িয়াখানা।

২ জায়ান্ট পান্ডা ‘ইর শান’ ও ‘দা মাও’ নিজেদের পছন্দের খাবার কচি কচি বাঁশ পেয়ে মহানন্দে দিন কাটাচ্ছিল। সব ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু বাধ সাধল করোনা। বন্ধ হয়ে গেল বিমান যোগাযোগ। চিন থেকে টরেন্টোর বিমান বন্ধ। ফলে বাঁশ আসছে না চিন থেকে। আবার কানাডাতে অত বাঁশ হয়না। বাঁশের জন্য চিনই ভরসা। কিন্তু সেখান থেকেও বাঁশ আনার উপায় নেই। ফলে পান্ডাদের বাঁচানোই দায় হয়ে পড়ে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এই পরিস্থিতিতে পান্ডা ২টিকে বাঁচাতে অবশেষে সেগুলিকে চিনেই ফেরত পাঠাল কানাডার ক্যালগারি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। অন্তত সেখানে খাবারের অফুরন্ত যোগান তো পাবে পান্ডারা। ২০১৩ সালে ওই ২ পান্ডাকে চিন থেকে কানাডায় নিয়ে যাওয়া হয়। শর্ত ছিল কানাডা ১০ বছর ওই ২টিকে তাদের কাছে রাখবে। তাদের যত্নআত্তি কানাডার দায়িত্ব। বিনিময়ে তারা পান্ডাগুলিকে নিয়ে গবেষণা করবে। কিন্তু চুক্তিমত সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই চিনে ফিরল ২ পান্ডা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *