অভিনব উপায়ে হারিয়ে যাওয়া ভাল্লুক শাবকের যত্ন করছে মানুষ
মানুষ কেমন দেখতে তা তাকে জানতে দেওয়ার দরকার নেই। সেটা নিশ্চিত করেই জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া ভাল্লুক শাবকের দেখাশোনা করছেন একজন মানুষ।

জঙ্গলে তাকে দেখতে পান ওয়াইল্ড লাইফ সেন্টারের সদস্যরা। ২ মাসের ছোট্ট ভাল্লুক শাবক। যার শরীর তখন খুবই দুর্বল। ধারেকাছে কেউ নেই। মা কোথায়? কারও জানা নেই। ওই শাবকটিকে উদ্ধার করেন তাঁরা। তারপর জঙ্গলে ভাল্লুকটির মায়ের খোঁজ শুরু হয়।
কিন্তু তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। মাত্র ২ মাসের কোনও ভাল্লুক শাবকের দেখভালের অভিজ্ঞতাও ওই সেন্টারের সদস্যদের ছিলনা। তবে তাকে বাঁচাতে হবে! তাই ভাল্লুক শাবকটিকে তাঁরা নিয়ে আসেন সেন্টারে। সেখানে শুরু হয় তার যত্ন করা।
যত্নটা মানুষই করা শুরু করেন। কিন্তু ভাল্লুককে বুঝতে দেওয়া হয়নি তাকে কোনও মানুষ দেখভাল করছে। যাতে সে ভয় না পেয়ে যায়। ভাল্লুক শাবক তার মায়ের সঙ্গেই সবচেয়ে ভাল থাকবে।
সেকথা মাথায় রেখে ক্যালিফোর্নিয়ার রোমানা ওয়াইল্ড লাইফ সেন্টারের সদস্যরা ভাল্লুকের মা সাজেন। তাঁরা ভাল্লুকের পোশাক পরে নেন। সঙ্গে নেন একটি ছোট টেডি বেয়ার। যাতে ওই ২ মাসের ভাল্লুক শাবক শুধু মাকে নয়, খেলার এক সঙ্গীও পায়। যা তাকে ভয় না পেয়ে বরং সাবলীল থাকতে সাহায্য করবে।
এই পরিকল্পনা দারুণভাবে কাজ করে। ওই ভাল্লুক শাবক মনে করে তার মা তার সেবাযত্ন করছে। তাকে খাওয়াচ্ছে। আর তারই কোনও ভাই বা বোন তার সঙ্গে খেলছে। এতে সে স্বাভাবিক খাওয়াদাওয়া করছে। ফলে তার শক্তি ফিরেছে। ক্রমে তার দেহের গঠনও বড় হচ্ছে।
রোমানা ওয়াইল্ড লাইফ সেন্টারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওই ভাল্লুকটিকে কখনওই মানুষের সংস্পর্শে আনা হবেনা। মানুষ কেমন দেখতে তা জানানোর দরকার নেই।
বরং সে একটু বড় হলে, যখন সে জঙ্গলে একা বেঁচে থাকার মত হয়ে উঠবে, তখন তাকে লস প্যাড্রেস ন্যাশনাল ফরেস্ট-এর জঙ্গলেই ছেড়ে আসবেন তাঁরা। যেখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে তার আগে এখন তাকে বড় করে তোলাই একমাত্র লক্ষ্য ওই সেন্টারের।