Kolkata

জট কাটল, ১৪ মে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাধা রইল না কমিশনের

Published by
News Desk

রাজ্য নির্বাচন কমিশন যদি পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে তবে তারা যেদিন খুশি ভোট করতে পারে। এক্ষেত্রে কমিশনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করবে না। কমিশন যদি মনে করে রাজ্যের ব্যবস্থা করা সুরক্ষা বন্দোবস্তে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হতে পারে, তাহলে তারা ভোট করাতেই পারে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন এই রায় দেওয়ার পর কার্যত আগামী ১৪ মে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও বাধা রইল না বলেই মনে করছেন সকলে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনও যে আগামী ১৪ মে ভোট করাতে প্রস্তুত তা তারা ইতিমধ্যেই বুঝিয়ে দিয়েছে। ফলে এতদিন ধরে যে প্রশ্ন সারা রাজ্যের মানুষের মুখে মুখে ঘুরছিল যে ১৪ মে ভোট হবে কিনা? তা এদিন কার্যত পরিস্কার হয়ে গেল।

এদিন ভোট করানোর সিদ্ধান্ত কমিশনের হাতে ছাড়লেও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় রায়তে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, যদি দেখা যায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ২০১৩ সালের থেকেও বেশি ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটল তাহলে যে আধিকারিকরা সুরক্ষা সুনিশ্চিত বলে রিপোর্ট দিয়েছেন তাঁদের মাইনে থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করা হবে। মাইনে যথেষ্ট না হলে তাঁদের অবসরকালীন প্রাপ্য অর্থ থেকে তা আদায় করা হবে। তাতেও না কুলালে রাজ্য সরকার সেই টাকা দিতে পারে। এই রায়কে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হিসাবেই নিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা।

এদিনের রায়কে অবশ্য নির্বাচন কমিশনের জয় হিসাবেই ব্যাখ্যা করছেন অনেকে। প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তাঁরা এই রায়ে খুশি নন বলে সাফ জানিয়েছেন বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে ক্ষতিপূরণের বিষয়টিকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন পিডিএস নেতা সমীর পুততুণ্ড।

এদিন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি করে বেলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে হাজির হন কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকেরা। জোর করে ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তির শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষণ এমন চলার পর পুলিশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে।

Share
Published by
News Desk

Recent Posts