Business

দেশে অর্থনৈতিক মন্দার ইঙ্গিত, জিডিপি নামল মাইনাস ২৩.৯ শতাংশে

গত ৪০ বছরে জিডিপি-র এমন দিন দেখেনি ভারত। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি নামল মাইনাস ২৩.৯ শতাংশে!

নয়াদিল্লি : আশঙ্কা ছিল আগে থেকেই অধোমুখী জিডিপি লকডাউনে পালে হাওয়া পেয়ে আরও তলানিতে গিয়ে ঠেকতে পারে। নেমে যেতে পারে মাইনাসে! এমনকি একটি সমীক্ষা থেকে উঠে আসে যে দেশের জিডিপি মাইনাস ১৮ শতাংশেও নেমে যেতে পারে। যা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন অনেকে। কিন্তু বাস্তব আরও কঠিন চিত্র সামনে আনল।

সোমবার প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি কিন্তু নেমেছে মাইনাস ২৩.৯ শতাংশে! যা দেখেই অর্থনীতি কম বোঝা কারও পক্ষেও এটা বোঝা কঠিন হবে না যে দেশের অর্থনীতি কোথায় গিয়ে ঠেকেছে! গত ৪০ বছরে এমন ভয়ংকর আর্থিক পরিস্থিতি দেখতে হয়নি ভারতকে।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

করোনা ছড়ানোর পর গত ২৫ মার্চ থেকে দেশ জুড়ে লকডাউন শুরু হয়। যা পরে সামান্য ছাড় পায়। ১ জুন থেকে আনলক পর্ব শুরু হয়। আনলক পর্বে একটু একটু করে খুলতে থাকে অফিস, দোকান। তবে নিয়ন্ত্রিতভাবে। অনেক বিধিনিষেধ মেনে। এদিকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষ শুরু হয় ১ এপ্রিল থেকে। তারপর এপ্রিল, মে ও জুন মিলিয়ে প্রথম ত্রৈমাসিক। একটি অর্থবর্ষকে ৪টি ত্রৈমাসিকে ভেঙে নেওয়া হয়। তার প্রথম ত্রৈমাসিকের রিপোর্ট সোমবার সামনে আসার পর কার্যত অর্থনীতির চরম দৈন্যদশায় মানুষের চিন্তার ভাঁজ আরও পুরু হয়েছে।

দেশের জিডিপি কিন্তু মাইনাস ২৩.৯ শতাংশে নেমে যাওয়া খুব মোটা করে ২টি বিষয়কে স্পষ্ট করে। এক, দেশের অর্থনীতি নিশ্চিতভাবে মন্দার দিকে ছুটছে। দুই, সরকারের ঘরে খাজনা কম জমা পড়ছে। এছাড়া এটাও এই সংখ্যা স্পষ্ট করছে যে মানুষের কেনার ক্ষমতা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ঋণ গ্রহীতারা অনেকেই তাঁদের প্রিমিয়াম জমা করতে পারছেন না।

গত অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি হার ছিল ৫.২ শতাংশ। যা এই অর্থবর্ষে এসে ঠেকল মাইনাস ২৩.৯ শতাংশে! তবে একটা বিষয় উল্লেখ্য যে ভারত সম্পূর্ণ লকডাউনে কাটিয়েছে এই ত্রৈমাসিকের ৩ মাসের মধ্যে প্রথম ২ মাস। তারপর প্রথম আনলক পর্বে জুনেও বিশেষ কিছু খোলেনি। ফলে মার খেয়েছে শিল্প ক্ষেত্র, পরিষেবা ক্ষেত্রের কিছু অংশ। এই সময়ে যেটুকু ভাল ফল করেছে তা হল দেশের কৃষিক্ষেত্র। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *