Business

কোপের মুখে তুরস্কের আপেল, প্রধানমন্ত্রীর কাছে হিমালয়ের আপেল চাষিরা

আপেল নিয়েও এবার ভারতের কাছে ধাক্কা খেতে পারে তুরস্ক। তুরস্ক থেকে ভারতে প্রচুর আপেল আমদানি করা হয়। যা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন হিমালয়ের আপেল চাষিরা।

প্রতিদিন একটি আপেল চিকিৎসককে দূরে রাখে। আদপে ইংরাজি প্রবাদ। যার বাংলা মর্মার্থটি এমনই। ভারতে আপেলের বাজার বিশাল। সাধারণ মানুষ থেকে ধনী, সকলেই ফলের তালিকায় আপেলকে সাধ্যমত রাখার চেষ্টা করেন।

ভারতে আপেল উৎপাদনকারী রাজ্য বলতে বোঝায় হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং জম্মু ও কাশ্মীরকে। এই ৩ রাজ্যে আপেল বাগান ভর্তি। বহু মানুষ আপেল চাষের সঙ্গে যুক্ত। তবে এখন ভারতের বাজারে তুরস্কের আপেলও দাপিয়ে রাজত্ব করে।


কারণ তুরস্ক থেকে ২০১৫ সালের পর থেকে ক্রমে বেড়েছে আপেল আমদানি। যা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে ভারতের আপেল চাষিরা প্রমাদ গুনছেন। তাঁদের মতে, তাঁদের আপেলের চেয়ে এখন তুরস্কের আপেল অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়েছে বাজারে।

ফলে তাঁরা অর্থনৈতিক দিক থেকে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এসব আপেল বাগান তাঁদের পুরাতনি সংস্কৃতিরও অঙ্গ। যা এখন গভীর সংকটের মুখে।


তাই তাঁরা সরকারের কাছে আবেদন করেছেন যাতে অবিলম্বে তুরস্ক থেকে আপেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তাহলে তাঁরা আবার তাঁদের বাজার ফিরে পাবেন। তাঁদের অর্থনৈতিক ক্ষতি কমবে।

প্রসঙ্গত ২০১৫ সালে যেখানে তুরস্ক থেকে ২০৫ টনের মত আপেল আমদানি করা হত, তা গতবছরে গিয়ে ঠেকেছে ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৬৬৩ টনে। তুরস্ক থেকে বিপুল পরিমাণে আপেল আমদানির এই প্রবণতায় সম্পূর্ণ ছেদ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই চিঠি দিয়েছেন হিমালয়ের রাজ্যগুলির আপেল চাষিরা।

তাঁদের এই আবেদন কি বর্তমান পরিস্থিতির কারণে আরও বেশি করে চাড়া দিয়েছে? পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তুরস্ক বিরোধী, বয়কট তুরস্ক ভাবনা যখন তুঙ্গে ঠিক সেই সময়ই তুরস্কের আপেলে নিষেধাজ্ঞা চাইলেন হিমালয়ের আপেল চাষিরা। এখন সরকার তাঁদের ডাকে কতটা সাড়া দেয় সেটা দেখার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button