Business

মিষ্টি চিনি এবার তেঁতো হয়ে সামনে আসতে চলেছে মধ্যবিত্তের হেঁশেলে

মধ্যবিত্তের মাসিক বাজেটে বাঁধা সংসারে প্রতিমাসেই নতুন নতুন চিন্তা বাড়তি খরচ হয়ে সামনে এসে পড়ে। এবার সেই চিন্তার ভাঁজ পুরু করল চিনি।

সাধারণ মানুষের জীবনে চাল, আটার সঙ্গে চিনিও এক নিত্যপ্রয়োজনীয় উপাদান। যা অল্প হলেও প্রতিটি পরিবারেই লাগে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেই হবে।

অথচ মধ্যবিত্তকে রেহাই দিতে পারেনা এসব উপকরণ। কারণ এর একটার দাম নাগালে আসে তো অন্য একটার দাম নাগালের বাইরে যেতে থাকে। ফলে বাজেটে টান পরে।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

চিন্তার ভাঁজ পুরু হয় হিসেব কষা মধ্যবিত্তের সাদামাটা জীবনে। এবার সেই চিন্তার নাম চিনি। কারণ চিনির দাম বাড়তে শুরু করেছে। আর তার জন্য দায়ী গত বছরের তুলনায় এ বছরের উৎপাদন।

গত বছর ভারতে মোট চিনি উৎপাদিত হয়েছিল ৩৫৭ লক্ষ টন। চলতি বছরেও চিনির উৎপাদন এতটাই ভাল হওয়ার কথা ছিল। সেভাবেই সব কিছু এগোচ্ছিল।

কিন্তু আচমকাই শোনা যাচ্ছে চিনি উৎপাদন গত বছরের তুলনায় এ বছর ৯ শতাংশ কম হতে চলেছে। যা কিন্তু দাম বাড়ার ইঙ্গিতই বহন করছে। আর ইঙ্গিত কেন ইতিমধ্যেই চিনির দাম অল্প করে বাড়তে শুরু করেছে।

গত বছর ভারত থেকে চিনি বিদেশে রফতানি করা হয়েছিল ১০০ লক্ষ টন। এবার চিনির উৎপাদন যদি সত্যিই ৯ শতাংশ কম হয় এবং দাম বাড়তে থাকে, তাহলেও চিনির রফতানি সম পরিমাণ হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।

তবে সব কিছুর মধ্যে একটা ভরসার কথাও শোনা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে চিনির এই বাড়তে থাকা দাম থেকে রেহাই দিতে খাদ্য ও ক্রেতা সুরক্ষা দফতর চিনির বাড়তি কোটা ছাড়তে পারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *