Business

চওড়া হল হাসি, ছত্রাকে লক্ষ্মী দেখছে উপত্যকা

আপাতত ছত্রাকে লক্ষ্মী দেখতে পাচ্ছেন উপত্যকার মানুষ। এই সুযোগ কাজে লাগাতে মরিয়া তাঁরা। অনেকের মুখের হাসি চওড়া হয়েছে নতুন দিশায়।

Published by
News Desk

ছত্রাক বা যাকে বঙ্গবাসী অনেকে ব্যাঙের ছাতা বলেও ব্যাখ্যা করে থাকেন। আগেও টুকটাক এই ছত্রাক খাওয়ার প্রচলন থাকলেও ছত্রাক মাশরুম হিসাবে বিক্রি হওয়া শুরু হতে তার কদর বেড়েছে। অনেকে মাশরুম চাষ শিখে কৃত্রিম উপায়ে মাশরুম তৈরি করছেন বাড়িতে বা বাড়ির সামনের ছোট জমিতে।

কিন্তু যে আবহাওয়া নিজেই উজাড় করে দিয়েছে এই মাশরুম ফলনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ, সেই আবহাওয়ায় থাকা মানুষজনই অতটা গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না মাশরুম চাষে। তবে এখন দিচ্ছেন। যখন এই মাশরুমে তাঁরা এখন লক্ষ্মীলাভের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন।

হিমালয়ের কোলে কত কিছুই তো জন্মায়। কাশ্মীরের উপত্যকাতেও ভরে থাকে নানা গাছগাছড়া। এসব উপত্যকা ওষধি গাছের জন্যও বিখ্যাত।

আবার এই পরিবেশ, এই আবহাওয়া মাশরুম চাষের জন্যও উপযুক্ত। মাশরুমেরও ওষধিগুণ যথেষ্ট। সেইসঙ্গে এতে থাকে প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডান্ট, ফলিক অ্যাসিড এবং আয়রন। মাশরুমকে এখন বলা হচ্ছে নতুন সুপারফুড।

যেহেতু প্রকৃতিই তাঁদের এই মাশরুম চাষের পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে, তাই মাশরুমের গুণ এবং চাহিদা বুঝে এখন জম্মু কাশ্মীরের মানুষের মধ্যে মাশরুম চাষের প্রবণতা বেড়েই চলেছে।

যেমন ফলনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন তাঁরা, তেমনই নজর দিচ্ছেন বিক্রিতে। যা তাঁদের পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। ন্যাশনাল এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় উপত্যকার মাশরুম চাষিদের উচ্চ ফলন ও আধুনিক মাশরুম চাষ সম্বন্ধে অবহিত করার কাজও চলছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk

Recent Posts