National

এখনও এই মন্দিরে দুর্গাপুজোয় মোষ, ছাগলের সঙ্গে অসংখ্য পাখি বলি হয়

বারোয়ারি পুজোয় বলির রীতি থাকলেও তা সীমিত থাকে লাউ, চাল কুমড়ো, আখ বা অন্য আনাজ বা ফল বলির মধ্যে। কিছু পারিবারিক পুজোয় এখনও পশু বলির প্রথা রয়েছে। কিছু পরিবার একটা সময়ের পর এখন বন্ধ করে দিয়েছে বলি প্রথা। কিন্তু অসমের বিখ্যাত কামাখ্যা মন্দির সহ বেশ কিছু মন্দিরে দুর্গাপুজোর দিনগুলোয় বলির রীতি এখনও বর্তমান। সেখানে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে বলি হয়। যেখানে মোষ বা ছাগলের সঙ্গে পাখিও বলি দেওয়া হয়।

অসমের রানি এলাকার বুঢ়ী গোঁসানী দুর্গা মন্দিরে এখনও পশুর সঙ্গে পাখি বলি হয়। এই মন্দিরের পরিচালন কমিটির অন্যতম সদস্য প্রদীপ মিশ্র সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন তাঁদের মন্দিরে দুর্গাপুজোর সময় ১৫টি মোষ, ২০টি ছাগল ও অগুন্তি পায়রা ও হাঁস বলি হয়। ভক্তরা বলি দেওয়ার জন্য পশু পাখি নিয়ে এলে তাঁদের না করা যায়না। বলির সাপেক্ষে যুক্তি হল, মা দুর্গা হলেন শক্তির আরাধনা। আর শক্তি পূজা বলির রক্ত ছাড়া নাকি হয়না। এটাই বৈদিক রীতি বলে দাবি করেছেন তিনি।

কামাখ্যা মন্দিরে আবার বলি হল নিত্য বলি। অর্থাৎ বিষয়টি প্রাত্যহিক। যখন কোনও ভক্ত এখানে বলি দেওয়ার জন্য পশু বা পাখি নিয়ে আসেন তখন তাঁকে না করা যায়না বলে জানিয়েছেন মন্দিরের পরিচালন সমিতির অন্যতম সদস্য মোহিত শর্মা। তাঁর দাবি, ধর্মীয় আচার পালনের অধিকার সকলের আছে। যদিও এভাবে পশুবলি বিষয়টিকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না পশু সংরক্ষণ সংগঠন পেটা। তারা জানিয়েছে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন হাইকোর্ট পশুদের আইনগত অস্তিত্বের কথা স্বীকার করেছে। সেখানে এভাবে তাদের বলি দেওয়া যায়না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *