Feature

ঘড়িতে মিনিটের কাঁটা বড় আর ঘণ্টার কাঁটা ছোট হওয়ার কারণটা মজাদার

ঘড়ি তো সকলেই দেখেন। সেখানে এটাও দেখেন যে মিনিটের কাঁটা বড় আর ঘণ্টার কাঁটা ছোট। কেন এমনটা ভেবে দেখেছেন কি? কারণটা মজাদার এবং বাস্তবসম্মত।

ঘড়ি তো বহুদিন ধরেই মানুষকে সঠিক সময় জানিয়ে আসছে। একটা ঘড়ি হীন পৃথিবী কার্যত ভাবনার অতীত। একটা বেলাও ঘড়ি ছাড়া পৃথিবী টিকবে না। ঘড়িতে সময় দেখা ছোট থেকেই রপ্ত করে মানুষ। সকলেই দেখেন ঘড়িতে একটি মিনিটের কাঁটা এবং একটি ঘণ্টার কাঁটা রয়েছে। কিছু ঘড়িতে সেকেন্ডের কাঁটাও থাকে। তবে সব ঘড়িতে ২টি কাঁটা থাকেই।

একটি মিনিটের এবং একটি ঘণ্টার। এই ২টি কাঁটার মধ্যে মিনিটের কাঁটাটি বড় হয় এবং ঘণ্টার কাঁটা ছোট হয়। এমনটা হওয়ার কিন্তু কারণ রয়েছে।

ঘড়ি অনেক আগেই তৈরি হয়েছিল। সেই সময় ঘড়ি কোনও কারণে বন্ধ হলে তা ফের চালু করতে হত। তখন ঘড়ির কাঁটা হাত দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়ার চল ছিল।

মিনিটের কাঁটা ঘোরালেই ঘণ্টার কাঁটা ঘুরত। তাই মিনিটের কাঁটাই ঘোরানো হত। ঘণ্টার কাঁটা যদি মিনিটের কাঁটার সমান বা বড় হত তাহলে ঘোরানোর সময় মিনিটের কাঁটায় হাত লেগে সেটাও ঘুরে যেতে পারত। সামান্য ছোঁয়াতেও এদিক ওদিক হতে পারত সঠিক সময়। এটা একটা কারণ মিনিটের কাঁটা বড় হওয়ার।

এছাড়া যদি মিনিটের কাঁটা ও ঘণ্টার কাঁটা সমান হত তাহলে সময় দেখার ক্ষেত্রে অসুবিধা হত। বিভ্রান্তিও বাড়ত। ঘণ্টা এবং মিনিটের কাঁটা গুলিয়ে যেত।

আরও একটি কারণ হল কাঁটা ছোট হলে তা প্রতি ঘণ্টার সংখ্যা ঠিক ছুঁতে পারেনা অনেক ঘড়িতে। আর ২টি সংখ্যার মাঝে যে মিনিটের দাগ থাকে তার ঠিক কোনটার দিকে তাক করেছে তাও বোঝা যেত না।

কাঁটা বড় হওয়ায় যেটা সহজেই বোঝা যায়। তাই সঠিক মিনিট বোঝার জন্য মিনিটের কাঁটা বড় রাখা হত। সেই নিয়মই এখনও মেনে চলা হয় ঘড়ির কাঁটার দৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button