Feature

ট্রাকের পিছনে কেন ওকে বা হর্ন ওকে লেখা থাকে

ট্রাক বা লরির পিছনে নজর করলে একটা লেখা দেখা যায়। ওকে বা হর্ন ওকে প্লিজ লেখাটা নজর কাড়ে। কেন এটা লেখা থাকে? উত্তরটা কিন্তু যথেষ্ট অবাক করার মত।

ট্রাক বা লরির পিছনে গাড়িতে থাকলে একটা লেখা নজর কাড়ে। ওকে বা হর্ন ওকে প্লিজ, লেখা থাকে এই পণ্য পরিবহণকারী যানের পিছনে। আবার অনেক সময় নানা ধরনের লাইনও লেখা থাকে সেখানে।


তবে ওকে বা হর্ন ওকেটা থাকেই। কেন থাকে? কেন এমন শব্দ লিখে রাখার দরকার পড়ে? এর পিছনে কিন্তু যথেষ্ট সঙ্গত কারণ রয়েছে। যা জানলে অনেকেই অবাক হবেন।

ট্রাক বা লরি বড় গাড়ি। হাইওয়ে হোক বা শহরের রাস্তা, সেখানে একটি ট্রাক বা লরি গেলে পাশ দিয়ে অন্য গাড়ি নিয়ে টপকে চলে যাওয়া সহজ হয়না যতক্ষণ না ট্রাক বা লরি ওই গাড়িকে পাশ দিচ্ছে।



রাস্তা আগে এমন ৩ লেন বা ৪ লেনের হতনা, এখনও অনেক রাস্তা যথেষ্ট অপরিসর হয়। সেখানে কোনও গাড়ি, বিশেষত মোটরগাড়ির ট্রাকের পিছনে ধীর গতিতে কতক্ষণ আর যাওয়া সম্ভব!

আবার ট্রাক চালক ট্রাকটিকে একটু রাস্তার ধারে না নিলে টপকানোও মুশকিল। তাই সেখানে জোর করে টপকাতে না গিয়ে বরং ট্রাক বা লরি মনে করিয়ে দেয় হর্নের কথা।

পিছনে থাকা গাড়ি ট্রাক বা লরির পিছনে লেখা হর্নের কথা পড়ে হর্ন দিয়ে সাইড চায়। সেই হর্ন শুনে ট্রাক বা লরি চালক বুঝতে পারেন কোনও গাড়ি পাশ কাটাতে চাইছে। তখন সুবিধা বুঝে চালক পাশ দিয়ে দেন।

Truck
ট্রাক, ছবি – সৌজন্যে – উইকিমিডিয়া কমনস

এই কারণেই ওকে বা হর্ন ওকে প্লিজ কথাটা লেখা থাকে ট্রাক বা লরির পিছনে। যদিও এখন ইনডিকেটর, ডিপার বা গাড়ির আলো দিয়েও ধার চাওয়ার কৌশল কাজে লাগান মোটরগাড়ির চালকরা।

এই কারণেই হর্ন প্লিজ কথাটা লেখা থাকে ট্রাক বা লরির পিছনে। যদিও এখন ইনডিকেটর, ডিপার বা গাড়ির আলো দিয়েও ধার চাওয়ার কৌশল কাজে লাগান মোটরগাড়ির চালকরা।

ওকে লেখা থাকার কারণ নিয়ে অবশ্য বিভিন্ন মত রয়েছে। একটি অনুযায়ী, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ডিজেলের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় ট্রাক বা লরি চলতে শুরু করে কেরোসিনে ভর করে। যেহেতু কেরোসিন ডিজেলের তুলনায় বেশি দাহ্য তাই আশপাশের গাড়িকে সতর্ক করতে সেই সময় ট্রাকের পেছনে লেখা শুরু হয় অন কেরোসিন বা সংক্ষেপে ওকে।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button