গান গায় মরুভূমির বালি, এমন জায়গাও রয়েছে এই পৃথিবীতে
পৃথিবীজুড়ে যে কত আশ্চর্যের মেলা তা গুনে শেষ করা যায়না। এ মানুষ সৃষ্টি করেনি। প্রকৃতির দান। যেমন এমন জায়গাও রয়েছে যেখানে গান গায় মরুভূমির বালি।
যাঁরা দেখেননি তাঁদের একটা কৌতূহল থাকতে পারে মরুভূমি দেখার। তবে সেখানে কাটানোর ইচ্ছা কারও থাকেনা। এমনকি মরুভূমির গভীরে প্রবেশের ইচ্ছাও কেউ দেখান না।
এই রুক্ষ নিরস মরুপ্রান্তরেও যে সুর তৈরি হয়, সেখানেও যে মন ভরানো তাল আকাশ বাতাস মুখরিত করে, তা শুনলে একটু চমকে যেতেই পারেন যে কেউ। তবে এটাই বাস্তব।
পৃথিবীতে এমন ৩-৪টি মরুভূমি রয়েছে যার বিশেষ কয়েকটি অঞ্চলে বালি উড়তে শুরু করলেই শোনা যায় সুরের যাদু। যা তৈরি হয় মূলত স্যান্ড ডিউন বা বালির পাহাড় থেকে। মরুভূমিতে বালির পাহাড় বা বালির টিলা প্রচুর থাকে। তবে সব মরুভূমিতেও এই সুর শোনা যায়না। আর সব বালির পাহাড়ও সুর তোলে না।
চিলির আতাকামা মরুভূমি, নামিবিয়ার নামিব মরুভূমি, কাজাখস্তানের আল্টিন এমেল ন্যাশনাল পার্ক নামে মরু অঞ্চল, চিনের দুনহুয়াং মরুভূমি-র মত কয়েকটা মরুভূমির কয়েকটা জায়গাতেই এই বালির গান শোনা যায়।
এটি বালির গান বলেই পরিচিত। এখানে বালি উড়তে শুরু করলে বা ঢাল বেয়ে গড়াতে শুরু করলে, আশ্চর্য সুর সৃষ্টি হয়। সুরে তালে অনবদ্য। প্রকৃতি যেন এখানে গান গায় নিজের আনন্দে।
নামিব মরুভূমির এই বালির গান বেশ জোড়াল হয়। বহু দূর থেকেও শোনা যায় এই সুর। আবার চিনের দুনহুয়াং মরুভূমিতে বালির গানে ওঠে বাঁশির মন ভোলা সুরের মূর্ছনা। আতাকামা মরুভূমিতে আবার যখন ঢাল বেয়ে বালি গড়ায় তখন তীব্র শব্দে সুর তোলে গোটা এলাকা।
একটা সময় এই বালির গান শোনা গেলে মানুষ তা মরুভূমির কোনও গোপন রহস্য বলে মনে করতেন। মনে করা হত এ কোনও ভৌতিক ঘটনা। কিন্তু এখন বিজ্ঞান বলছে যথেষ্ট শুকনো বালি, গোল বালি, নির্দিষ্ট আকারের বালি এবং বালির দানায় সিলিকার উপস্থিতি থাকলে এমন সুর উঠতে পারে। তবে তা মরুভূমির সর্বত্র নয়। বিশেষ কিছু জায়গাতেই শোনা যেতে পারে বালির গান।













