দেশের আইএএস কারখানা বলা হয় এই গ্রামকে, কারণটা রূপকথাকে হার মানায়
প্রশাসনিক প্রধান পদ হিসাবে আইএএস বা আইপিএস দেশের সর্বোচ্চ পদের তালিকায় পড়ে। ভারতেই রয়েছে একটি প্রত্যন্ত গ্রাম যাকে আইএএস কারখানা বলা হয়।
ভারত এমন এক দেশ যা কার্যত প্রশাসনিক প্রধান দ্বারা পরিচালিত হয়। দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদগুলিতে কাজ করতে হলে পাশ করতে হয় ইউপিএসসি পরীক্ষা। যেখানে পাশ করে আইএএস, আইপিএস হয়ে বিভিন্ন সর্বোচ্চ পদ সামলানে মেধাবীরা।
এ পরীক্ষা নেহাত সহজ নয়। এজন্য বিশেষ তালিম লাগে। লাগে কোচিং, বইপত্র, বিভিন্ন আইএএস আইপিএসদের সুপরামর্শ। কিন্তু ভারতের গ্রামে সে সুবিধা কোথায়?
এজন্য অনেক ছাত্রছাত্রী আইএএস আইপিএস হওয়ার স্বপ্ন দেখলে গ্রাম ছেড়ে শহরে এসে সেখানে থেকে পড়াশোনা করেন। পরীক্ষায় বসার সঠিক পদ্ধতিতে তালিম নেন।
এই যখন পরিস্থিতি তখন কিন্তু একদম অন্য পথে হেঁটে কোনও সুযোগ সুবিধা ছাড়াই সবচেয়ে বেশি আইএএস আইপিএস পাশ ছাত্রছাত্রী তৈরি হয়েছেন এই গ্রামে বসে।
এ গ্রামে না আছে কোনও কোচিং, না আছে অন্য কোনও সুবিধা। যা আছে তা হল পড়াশোনার পরিবেশ। যা ১০০ বছর আগে থেকেই এই গ্রামকে অন্য অনেক গ্রামের থেকে আলাদা করেছিল।
উত্তরপ্রদেশের মাধোপট্টি হল সেই গ্রাম যাকে ভারতের আইএএস কারখানা বলা হয়। এ গ্রামে একটি পরিবার আছে যেখানে ৪ ভাইয়ের ৪ জনই আইএএস।
এই পরিবারই প্রথম নজর কাড়ে গোটা দেশের। তারপর দেখা যায় এই ৭৫টি পরিবারের ছোট্ট গ্রামটিতে আইএএস আইপিএস পাশ করার জন্য উপযুক্ত কোনও পড়াশোনার পরিকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও এই গ্রাম থেকে ৫১ জন আইএএস আইপিএস আধিকারিক দেশ জুড়ে বিভিন্ন উচ্চ পদে কাজ করছেন।
কোনও একটি গ্রাম থেকে এত জন আইএএস বা আইপিএস আধিকারিক দেশের অন্য কোনও গ্রামে নেই। তাই মাধোপট্টিকে বলা হয় ভারতের আইএএস ফ্যাক্টরি।