Feature

প্রাচীন নিয়ম, এ গ্রামে বিয়েতে পণ নিলে পড়তে হয় অন্যরকম শাস্তির মুখে

আইনতই পণ নেওয়া যায়না। তবে এ গ্রাম সেই আইনের পরেও নিজেদের আইন তৈরি করেছে। এখানে পণ নিয়ে ফেললে পড়তে হয় অদ্ভুত শাস্তির মুখে।

ভারতে পণ নেওয়া বেআইনি। তবু বিয়েতে পণ দেওয়া নেওয়া যে হয়না এমনটাও নয়। প্রচলিত প্রথা হয়ে উঠেছে এই পণপ্রথা। তবে তার মধ্যেও কার্যত প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠেছে একটি গ্রাম।

এ গ্রামে কেউ জোর করে পণ দেওয়ানেওয়া বন্ধ করেনি। গ্রামবাসীরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে বহুকাল ধরে গ্রামে পণ দেওয়া বা নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।

যদি তারপরেও এ গ্রামে বিয়েতে পণ নেওয়ার ঘটনা ঘটে তাহলে যে শাস্তির মুখে পরিবারকে পড়তে হয় তা তাদের সারা জীবনটা দুর্বিষহ করে তোলে।

শহরের মানুষ নিজেদের অনেক বেশি প্রগতিশীল মনে করলেও এই গ্রাম ভারতে সত্যিকারের প্রগতিশীল মানসিকতার এক উদাহরণ হয়ে উঠেছে। গ্রামটির নাম বাবাওয়াইল।

ছোট গ্রামটি কাশ্মীরের অপরূপ প্রকৃতির বুকে অবস্থিত। যেখানে বিয়ে হয় বটে তবে তা হয় অত্যন্ত সাদামাটা ভাবে। এটাই এই গ্রামের অলিখিত নিয়ম। যা পরম্পরা ধরে মেনে চলা হচ্ছে।

বিয়েতে ইচ্ছা থাকলেও আড়ম্বর কেউ যেমন করতে পারবেননা, তেমনই বিয়েতে পণ নেওয়া যাবেনা। যদি কেউ পণ নেন তাহলে তাঁকে একঘরে করা হবে।

তাঁর পুরো পরিবারকে সামাজিক বয়কটের মুখে পড়তে হবে গ্রামে। তাঁদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ রাখবেন না। তাঁদের সঙ্গে কেউ সম্পর্ক রাখবেন না। এ এক অনন্য উদাহরণ গোটা দেশের জন্য। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *