পাহাড়ের ওপর নিয়ে গিয়ে মাঝরাতে কনকনে ঠান্ডায় প্রেমিকাকে ফেলে পালাল প্রেমিক
গাছে তুলে মই কেড়ে নেওয়ার প্রবাদ সকলের জানা। কিন্তু এবার পাহাড়ে প্রেমিকাকে ফেলে চলে আসার ঘটনা সামনে এল। প্রেমিকের কাণ্ডে রেগে আগুন গোটা বিশ্ব।
পাহাড়ে চড়া তাঁর নেশা ছিল। পাহাড়ে চড়াই নয়, নিজেকে পাহাড়ি মানুষ বলেই পরিচয় দিতেন তিনি। ৩৩ বছরের ওই যুবতী ভালবাসতেন ৩৬ বছরের এক ব্যক্তিকে। যিনি ছিলেন একজন দক্ষ পর্বতারোহীও।
প্রেমিক প্রেমিকা ২ জনেই পাহাড়ে চড়তে পছন্দ করেন। সেটাই হয়তো তাঁদের এত কাছে এনে দিয়েছিল। কিন্তু এই সম্পর্ক ওই যুবতীর জন্য বড় একটা সুখের হল না।
অস্ট্রিয়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ গ্রোসগ্লকনার। এই পর্বতেই চড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ২ জনে। সেইমত তাঁরা যাত্রাও শুরু করেন। তবে যে সময় স্থির ছিল তার চেয়ে ২ ঘণ্টা পর যাত্রা শুরু করেন তাঁরা।
কার্স্টিন গুর্টনার নামে ওই যুবতী তাঁর প্রেমিক থমাস প্লামবার্গারের সঙ্গে বেশ উঠছিলেন। তবে যতই উপরে উঠছিলেন ততই ঠান্ডার কামড় ক্রমশ বাড়ছিল। প্রবল ঝোড়ো হাওয়া চলায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছিল।
তখন প্রায় মধ্যরাত। ২ জন সে সময় গ্রোসগ্লকনার পর্বতের চুড়ো থেকে মাত্র ১৫০ ফুট নিচে ছিলেন। আর সামান্য চড়তে পারলেই চুড়ো ছুঁয়ে ফেলবেন তাঁরা। এইসময় গুর্টনার অসুস্থ অনুভব করতে থাকেন।
মাইনাস ২০ ডিগ্রিতে তাঁকে ঠান্ডা পেয়ে বসেছিল। হাইপোথার্মিক হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তাঁর উত্তাপের দরকার ছিল। সে সময় তাঁর প্রেমিকের কাছে ছিল ওই পাহাড়ের ঠান্ডার জন্য উপযুক্ত কম্বল ও বিভুয়াক স্যাক।
সেসব প্রেমিকাকে না দিয়ে তাঁকে একা ফেলে রেখে তিনি বরং নেমে আসেন বলেই অভিযোগ। পাহাড় থেকে নেমে যুবতীকে উদ্ধারের জন্য লোকজনকে খবর দেন। যতক্ষণে খবর পেয়ে ওই যুবতীকে উদ্ধার করা হয় ততক্ষণে তাঁর প্রাণ বায়ু বেরিয়ে গেছে।
ঠান্ডায় শেষ হয়ে যায় একটি প্রাণ। অভিযোগ, সঙ্গে পাহাড়ের ঠান্ডাকে জব্দ করার কম্বল ছিল। ছিল চারপাশ ঢাকা বিভুয়ার স্যাক। যারমধ্যে ঢুকে একজন মানুষ নিশ্চিন্তে পাহাড়ের ওপর শুয়ে থাকতে পারেন। ওর মধ্যে ঠান্ডা প্রবেশ করতে সেভাবে পারেনা।
ওই ২টি সঙ্গে ছিল। তিনি অভিজ্ঞ পর্বতারোহী। ভালই জানতেন এগুলি ব্যবহার করলে তাঁর প্রেমিকা এভাবে ঠান্ডায় শেষ হয়ে যেতেননা। তবু তিনি নেমে আসেন প্রেমিকাকে ওই অবস্থায় ছেড়ে। ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ শুরু হয়েছে অস্ট্রিয়ায়।













