SciTech

অসুস্থ হলে আশ্চর্য বার্তা পাঠায় অল্পবয়সী পিঁপড়েরা, নিজেদের কথা না ভেবে কলোনিকে রক্ষা করে

পিঁপড়েরাও তো অসুস্থ হয়। পিঁপড়েদের মধ্যে যারা নবীন তারা অসুস্থ হলে একধরনের বিশেষ বার্তা পাঠায় বাকিদের। নিজের জন্য না ভেবে বাঁচায় তাদের কলোনিকে।

পিঁপড়েরা অসুস্থ হলে কি করে? তাদের তো আর ওষুধ হয়না। তাহলে কি করে? একটি গবেষণা সেই উত্তর খুঁজে বার করেছে। যা জানার পর অনেকেই হতবাক হয়ে যেতে পারেন।

ওই ক্ষুদ্র প্রাণিদের তাদের কলোনির প্রতি ভালবাসা ও আত্মত্যাগ অভিভূত করতে পারে সকলকে। পিঁপড়েরা কলোনি তৈরি করে থাকে। সেখানে হাজার হাজার পিঁপড়ে ছোট জায়গায় বেশ গায়ে গায়ে কাটায়। তারা নিজেদের মধ্যে অহরহ বার্তাও প্রেরণ করতে থাকে।

এদের মধ্যে যদি কোনও প্রবীণ পিঁপড়ে অসুস্থ হয় তাহলে সে তখনই কলোনি ছেড়ে বেরিয়ে যায়। তারপর কলোনি থেকে অনেকটা দূরে চলে যায়। একাই যায়। সেখানে ক্রমে তার জীবন সাঙ্গ হয়।

কিন্তু যারা নবীন পিঁপড়ে তারা কম বয়সের কারণে ওভাবে কলোনি ছাড়তে পারেনা। অসুস্থ হলে তাই তারা একটি বিশেষ বার্তা প্রেরণ করতে থাকে। রাসায়নিক ত্যাগ করে সেই বার্তার অর্থ অন্য পিঁপড়েদের কাছে পরিস্কার করে দেয়।

তাদের বার্তাটা ভয়ংকর। এই অল্পবয়সী পিঁপড়েরা অসুস্থ হলে অন্য পিঁপড়েদের বার্তা পাঠিয়ে অনুরোধ করে তারা যেন দ্রুত তার প্রাণ কেড়ে নেয়। নিজের জীবন এভাবে বিসর্জন দিতে চায় কেন নবীন পিঁপড়েরা? প্রবীণ পিঁপড়েরাই বা অসুস্থ হলে কলোনি ছেড়ে একাই অনেক দূরে চলে যায় কেন? এর পিছনে রয়েছে গভীর আত্মত্যাগের কাহিনি।

এরা অসুস্থ হলে কলোনির গায়ে গায়ে ঘেঁষে থাকা বাকি পিঁপড়েদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যেহেতু তারা গায়ে গায়ে বসবাস করে তাই সংক্রমণ দ্রুত ছড়াতে পারে। তার সংক্রমণের কারণে কলোনির অনেক পিঁপড়ে অসুস্থ হতে পারে। যা তাদের কলোনির অনেকের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে।‌

তাই কলোনিকে বাঁচাতে, বাকি পিঁপড়েদের বাঁচাতে বয়সে বড় পিঁপড়েরা কলোনি ছেড়ে দূরে চলে যায় আর ছোটরা নিজেরাই বার্তা পাঠিয়ে তাদের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার অনুরোধ করে অন্য পিঁপড়েদের কাছে। অস্ট্রিয়ার একদল গবেষক পিঁপড়েদের এই আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরেছেন। বিভিন্ন বিজ্ঞান পত্রিকায় এই খবর আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *