Sports

ভারত অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে মাঠে ঢুকে আদানিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

ভারত অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ চলাকালীন মাঠে ঢুকে পড়লেন প্ল্যাকার্ড হাতে ২ বিক্ষোভকারী। ভারতের আদানি গ্রুপকে এসবিআই যেন ঋণ না দেয়, একথা লেখা ছিল প্ল্যাকার্ডে।

সিডনি : প্রাথমিকভাবে কিছুটা অবাক লাগতেই পারে। ভারতের আদানি গ্রুপকে ১ বিলিয়ন ডলার বা ৭ হাজার ৪০০ কোটির কিছু বেশি টাকা ঋণ দিচ্ছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। তার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার কী!

শুক্রবার অস্ট্রেলিয়া বনাম ভারত একদিনের ম্যাচ হচ্ছিল সিডনিতে। সেই ম্যাচের মধ্যে মাঠে ঢুকে পড়েন ২ প্রতিবাদী। এখানে মনে হতে পারে তাহলে হয়তো অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত ভারতীয়দের কোনও প্রতিবাদ। কিন্তু তাও নয়। খোদ অস্ট্রেলিয়ানদের প্রতিবাদ।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

খেলা শুরু হয়েছে তখন কিছুক্ষণ হয়েছে। ভারত বোলিং করছে। সপ্তম ওভার শুরু হচ্ছে। ঠিক সেই সময় দেখা যায় ২ জন ব্যক্তি হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে সোজা ঢুকে আসেন মাঠে। তারপর প্রায় মাঠের মাঝখান পর্যন্ত পৌঁছে যান। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা অবশ্য এগিয়ে আসেন এই কাণ্ড দেখে। তারপর ২ প্রতিবাদীকে বার করে নিয়ে যান।

কি লেখা ছিল তাঁদের প্ল্যাকার্ডে? সেখানে লেখা ছিল এসবিআই যেন আদানি গ্রুপকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ না দেয়। একটা আবেদনই ছিল প্ল্যাকার্ডে।

ভারতের ব্যাঙ্ক, ভারতীয় সংস্থাকে ঋণ দিচ্ছে তাতে তাঁদের কী? এ প্রশ্নের উত্তর রয়েছে। আসলে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে গৌতম আদানির সংস্থা একটি কয়লাখনির বরাত পেয়েছে। এবার সেখানে খননকার্য চালাবে তারা। এদিকে পরিবেশকর্মীদের তাতে বেজায় আপত্তি রয়েছে।

পরিবেশকর্মীদের দাবি এই কয়লা খনির কাজ শুরু হলে তা চারধারের পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর হবে। এ নিয়ে তাঁরা একটি মামলাও আদানিদের বিরুদ্ধে করেন। কিন্তু সেই মামলা হেরে যান তাঁরা। আদানিদের তরফে জানানো হয় এই প্রকল্পের কাজে দেড় হাজার মানুষের চাকরি হবে।

এদিকে পরিবেশবিদদের দাবি এতে অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাই এবার তাঁরা আদানি গ্রুপে অর্থের যোগান যাতে বন্ধ হয় তার জন্য পথে নেমেছেন।

এসবিআই যেহেতু এই প্রকল্পে আদানিদের ঋণ দিচ্ছে, তাই এসবিআইয়ের কাছে এদিন তাঁরা প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে আবেদন রেখেছেন। ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এই প্রতিবাদ দেখানো মানে তা দৃষ্টিগোচর হওয়া বলে মনে করেই এদিন মাঠে ঢুকে এবং মাঠের বাইরে প্রতিবাদের রাস্তায় হাঁটেন পরিবেশ সংগঠনের সদস্যরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *