সুপারহিট গানের শ্যুটিংয়ে মুখের ভিতর জ্বলে যায় অমিতাভ বচ্চনের, ১ মাস লেগেছিল ঠিক হতে
এ গান আজও সুপারহিট। অমিতাভ বচ্চনের কেরিয়ারের অন্যতম সেরা গান। যার শ্যুটিং করতে গিয়ে মুখের ভিতর কার্যত জ্বলে গিয়েছিল অমিতাভের। ঠিক হতে লেগেছিল ১ মাস।
বলিউড শাহেনশাহর দীর্ঘ অভিনয় জীবন জুড়ে রয়েছে নানা গল্প। একবার শুরু করলে তা যে কোথায় গিয়ে থামবে কেউ জানেনা। অমিতাভ বচ্চন নিজেই সেসব কাহিনি সকলের সাথে ভাগ করে নেন।
বিখ্যাত এক চলচ্চিত্র। ততোধিক বিখ্যাত সেই চলচ্চিত্রের একটি গান। ১৯৭৮ সালে মুক্তি পায় অমিতাভ বচ্চনের অন্যতম সেরা সিনেমা ডন। ওই চলচ্চিত্রে বহু নামীদামী শিল্পী কাজ করেছিলেন। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে অমিতাভ বচ্চন নিজের অভিনয় ক্ষমতার জোরে দর্শকের মন জয় করে নিয়েছিলেন।
একটি টিভি শোতে অমিতাভ ওই চলচ্চিত্রের বিখ্যাত গান ‘খাইকে পান বানারস বালা’-র শ্যুটিংয়ের কাহিনির কথা জানান। টানা ৪ দিন ধরে ৩০ থেকে ৪০ বার টেক নিয়ে ওই গানটি শ্যুট করা হয়।
প্রতিবার শ্যুটিংয়ের সময় চুন, খয়ের দেওয়া পান খেতে গিয়ে বিগ বি-র মুখের অবস্থা একদম খারাপ হয়ে যায়। পরিচালকের পছন্দ না হওয়ায় তিনি সিন রিটেক করতে থাকেন। পরিচালক কখনও লাল রঙে ঠোঁট রাঙানোর জন্য অমিতাভকে অনুরোধ করেন, কখনও জানান আগের শটয়ে মুখটা চলছিল। তাই তার পরের শটেও মুখটা হুবহু একইভাবে চলতে হবে।
পরিচালকের চাহিদা মেটাতে গিয়ে অমিতাভকে বার বার পান খেতে হয়। সেই চুন আর খয়ের দেওয়া পান চিবিয়ে তো অমিতাভের বেহাল দশা। এতবার চুন মুখে যাওয়ায় মুখ গেল জ্বলে। অমিতাভ জানান, তাঁর সেই জ্বলে যাওয়া মুখ ঠিক করতে ১ মাস লেগে যায়।
তবে যাই হোক না কেন, এই গানের শ্যুটিংয়ে যে তিনি কতটা আনন্দ করেছিলেন সেটা জানাতে ভোলেননি অমিতাভ। এত পরিশ্রমের পর গানটি এমনই সুপারহিট হয় যে আজও এই গান কানে এলে মানুষের মন ভাল হয়ে যায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা













