মহাষ্টমীর সকাল থেকে বৃষ্টি, মাটি পুষ্পাঞ্জলি, কি বলছে আবহাওয়া দফতর
মহাষ্টমীর সকাল থেকেই মেঘে ঢাকা পড়েছে আকাশ। মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি নামছে। বৃষ্টি নিয়ে কিন্তু পুজোর শেষ কদিনে আশার আলো দেখাচ্ছে না আবহাওয়া দফতর।
কথায় বলে একা রামে রক্ষে নেই সুগ্রীব দোসর। সেই অবস্থাই হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তো ছিলই। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছে আরও একটি নতুন তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত।
এই জোড়া ফলায় আপাতত নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়েছে। আর কপালের ভাঁজ পুরু হয়েছে পুজো উদ্যোক্তা থেকে সাধারণ মানুষের। সপ্তমীতে যে বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল তা হয়নি। বরং আকাশ দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন দুর্যোগ বোধহয় কেটে গেল।
কিন্তু মহাষ্টমীর সকালে ঘুম ভেঙেই সে ভুল ভেঙে যায়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অক্ষরে অক্ষরে মিলে শুরু হয় অসুর বৃষ্টি।
মহাষ্টমী মানেই সকালে পুজো, পুষ্পাঞ্জলি। যে পুজো বা পুষ্পাঞ্জলিতে শামিল হন আপামর বাঙালি। অষ্টমীর সকালটাই যেন অন্য সকাল হয়ে ওঠে। কিন্তু মেঘে ঢাকা আকাশ, মাঝে মাঝেই বৃষ্টি সেই আমেজ মাটি করে দেয়।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে অষ্টমী তো বটেই এমনকি নবমীতেও রেহাই মিলবে না বৃষ্টির হাত থেকে। দশমী থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে শুরু করবে।
সকলের হতাশ সুর তখন আর কি হবে! পুজো তো শেষ! কিন্তু আবহাওয়ার ওপর তো কারও হাত নেই। ষষ্ঠীর সন্ধের ঝেঁপে বৃষ্টি অবশ্য মানুষের উৎসাহ কিছুটা সময়ের জন্য থমকে দিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু মুছে দিতে পারেনি। বরং বৃষ্টি থামতেই ভেজা শহরে ঠাকুর দেখার ঢল নামে।
তাই অষ্টমীর বৃষ্টিও এসেই উৎসাহে ভাটা ফেলতে পারবে বলে মনে করেছেন না পুজো উদ্যোক্তারা। এদিকে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে উত্তরবঙ্গে অষ্টমী থেকেই মেঘ ঢুকতে শুরু করবে। বাড়তে থাকবে বৃষ্টি।













