করোনা ভাইরাস, প্রতীকী ছবি
করোনা ভাইরাসের ছোবলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ইউরোপ জুড়ে। ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইংল্যান্ডের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ ছিল। যেখান থেকে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশগুলো।
ইতালি, স্পেনে যেখানে মৃত্যু মিছিল চলছে সেখানেও একদম ভেন্টিলেশনে চলে যাওয়া রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। কিছুটা হলেও কমেছে সংক্রমণের হার। হাল ফিরছে জার্মানিরও।
এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছু দেশ আর মানুষকে বাড়িতে রাখার পক্ষপাতী নয়। সেখানকার সরকার চাইছে এবার আস্তে আস্তে সব খুলতে শুরু করবে তারা। আর সেখানেই প্রবল আপত্তি জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু।
হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল সতর্ক করে জানিয়েছেন, কিছু দেশ লকডাউন তোলার কথা ভাবছে। কিন্তু এখন লকডাউন শিথিল করলে কিছুদিনের মধ্যেই ফের হুহু করে বেড়ে যাবে করোনার সংক্রমণ।
প্রসঙ্গত হু সংক্রমণের শিকার দেশগুলির সঙ্গে একযোগে কীভাবে ধীরে ধীরে লকডাউনকে শিথিল করা যায় তার ওপর কাজ করছে।
ইতালিতে এখনও ১৮ হাজার ৮৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। তবে এখন সেখানে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কমছে। ইতালি সরকার সেখানে লকডাউন আগামী ৩ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
ফ্রান্সেও মৃত্যু ১৩ হাজার পার করলেও গত ২ দিনে সামান্য হলেও আশার আলো দেখা গেছে। জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল জানিয়েছেন তাঁর দেশে সংক্রমণের রেখাচিত্র অনেকটা সমান্তরাল হয়ে গেছে। ফলে তাঁর দেশে মানুষকে আর কড়াকড়ি মধ্যে রাখা খুব জরুরি মনে হচ্ছে না। সকলকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।
ইউরোপে এখন সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে ব্রিটেন। কারণ সেখানে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এদিকে হাঙ্গেরি সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছে তাদের দেশে লকডাউন অনির্দিষ্টকালের। তা কবে শেষ হবে তা সরকার জানিয়ে দেবে।
এদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন জানিয়ে দিয়েছে অযথা খুব প্রয়োজন ছাড়া অন্য দেশে যাওর ক্ষেত্রে বা বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে তারা যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তা আগামী ১৫ মে পর্যন্ত বহাল থাকবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা