State

দিনের শেষে ৩৬টি দেহ উদ্ধার, আরও দেহের খোঁজে তল্লাশি হবে মঙ্গলবার সকালে

Published by
News Desk

বিকেল ৩টে নাগাদ যখন বাস ভৈরব নদীর জলে উঁকি দিল তখন নদীর পার জুড়ে হাজার হাজার মানুষের বিস্ফারিত চোখ খুঁজছে বাসের আনাচ কানাচ। যদি কোনও দেহের দেখা পাওয়া যায়। ততক্ষণে বাসের কাছে পৌঁছে গেছে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে নৌকা, উদ্ধারকারীদের বোট। বাসটি ৪টি ক্রেনের সাহায্যে যখন শেষ বিকেলে ঠিক জলের ওপর ভাসমান অবস্থায় আসে, তখন বাসের পিছনের দরজা ভেঙে ভিতর থেকে একে একে শুরু হয় দেহ টেনে বার করার কাজ।

সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত যেখানে ৪টি দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেখানে মাত্র আধঘণ্টার মধ্যে সেই সংখ্যা পৌঁছে যায় ৩৬-এ। যারমধ্যে মহিলা ও শিশুও ছিল। দেহগুলিকে পাঠানো হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। আর বাসটিকে ধীরে ধীরে সন্ধের পর উপরে তুলে নেয় ক্রেন। কিন্তু সকাল থেকেই শোনা গেছে বাসে যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫৬-৫৭ জন। দেহ উদ্ধার হয়েছে ৩৬টি। ৯ জন নদীর জলে ভেসে প্রাণে বেঁচে গেছেন। তাহলে এখনও জনা ১০-১১ জন যাত্রী বাকি। তাঁরা কোথায়? প্রশ্ন উঠলেও রাতের অন্ধকারে উদ্ধার কাজ সম্ভব নয়। তাই প্রশাসনের তরফে সিদ্ধান্ত হয়েছে মঙ্গলবার সূর্যের আলো ফোটার পর থেকে ফের ভৈরব নদীতে শুরু হবে বাকি দেহের খোঁজে তল্লাশি।

Share
Published by
News Desk