State

পণের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, বেপাত্তা স্বামী, শ্বশুরবাড়ির লোকজন

Published by
News Desk

প্রেমিকের সঙ্গে হাত ধরে এক কাপড়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন কাকলি। দুচোখে মনের মানুষের সঙ্গে ঘর বাঁধার একরাশ স্বপ্নে বিভোর হৃদয় পিছন ফিরে তাকায়নি। বিয়েও হয়। তা প্রায় ৭ মাস আগের কথা। প্রথম প্রথম সব ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু অভিযোগ মাস দুয়েক পর থেকে বদলে যায় সব ছবি। প্রেমের সুমধুর সম্পর্ক হারিয়ে যায় নিমেষে। সে জায়গায় পণের দাবি ক্রমশ জোড়াল হতে থাকে। টাকা পয়সা থেকে মোটরবাইক, গয়না। চাহিদার তালিকা লম্বা হতে থাকে। আর তা চাহিদামত না পাওয়া বাড়াতে থাকে অত্যাচারের মাত্রা। ততদিনে কাকলি বিশ্বনাথের প্রেমের পুরস্কার কাকলির জঠরে বড় হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ ভালবেসে বিয়ে করা সেই অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে অত্যাচার করতে এতটুকু হাত কাঁপেনি স্বামীর।

গত বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির কাকলি তাঁর বাড়িতে ফোন করে বাবাকে অত্যাচারের কথা জানান। কিন্তু তার কিছু পরে তাঁর বাপের বাড়িতে ফোন আসে শ্বশুরবাড়ি থেকে। জানানো হয় কাকলি মারা গেছেন। হাসপাতালে রয়েছে তাঁর মৃতদেহ। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। অভিযোগ পণের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বা কাকলিকে হত্যা করেছে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পুলিশে দায়ের হয়েছে মামলা। যদিও ঘটনার পর থেকে কাকলির স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বেপাত্তা।

Share
Published by
News Desk