State

হেলমেট না পরার ‘অপরাধে’ সিভিক পুলিশের মারে মৃত্যুর অভিযোগ

Published by
News Desk

সিভিক পুলিশের মারে এক স্কুটার চালকের মৃত্যুর অভিযোগকে ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধল মধ্যমগ্রাম চৌমাথায়। পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তিতেও জড়িয়ে পড়েন উত্তেজিত জনতা। শৌচাগারে আত্মগোপন করে থাকা অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করে ক্ষিপ্ত জনতা। উন্মত্ত জনতাকে সামলাতে সকাল সকাল নামাতে হয় র‍্যাফ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় কাউন্সিলারের সঙ্গেও একচোট তর্কবিতর্ক হয় মৃতের পরিচিতদের।

শনিবার সকালে সৌমেন দেবনাথ নামে এক ব্যক্তি তাঁর স্কুটারে চেপে কাজে যাচ্ছিলেন। তিনি মধ্যমগ্রাম শ্রীনগরের বাসিন্দা। চৌমাথায় পৌঁছানোর পর তাঁকে বাধা দেন কর্তব্যরত ২ সিভিক ভলান্টিয়ার। অভিযোগ, মাথায় হেলমেট না থাকায় ‘মোটা’ অঙ্কের টাকা চাওয়া হয় সৌমেন বাবুর কাছ থেকে। তিনি তা দিতে অসম্মত হন। এই নিয়ে সিভিক পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন মাঝবয়সী স্কুটার চালক। তর্কাতর্কি একসময় হাতাহাতিতে পৌঁছয়। ২ সিভিক পুলিশ সৌমেনবাবুর উপর চড়াও হয়ে তাঁকে বেদম মারধর করেন বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের। সৌমেনবাবুর কানের উপর সপাটে চড়, লাথি, ঘুষি মারা হয় বলে দাবি স্থানীয়দের। প্রবল মার খেয়ে একসময় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সৌমেনবাবু। গুরুতর আহত সৌমেনবাবুকে মধ্যমগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

মৃত্যুর খবর চাউর হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। সিভিক পুলিশের বাড়াবাড়ি ‘নীতিগিরি’ নিয়ে আগেই অসন্তোষ জমেছিল মধ্যমগ্রামবাসীর মধ্যে। শনিবারের দুর্ঘটনায় আগুনে যেন ঘি পড়ে। অভিযুক্ত সিভিক পুলিশদের হাতে পেতে উন্মত্ত হয়ে ওঠেন সাধারণ মানুষ। প্রাণ বাঁচাতে নিকটবর্তী শৌচালয়ে গিয়ে আত্মগোপন করেন অভিযুক্ত ২ সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁদের লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকেন ক্ষিপ্ত জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। প্রবল বিক্ষোভের জেরে ব্যস্ত সময়ে অবরুদ্ধ হয়ে যায় যশোর রোড। প্রবল দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা।

Share
Published by
News Desk