State

পণের টাকা দিতে না পারায় বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ

Published by
News Desk

৩০ হাজার টাকা পণ আদায়ের পরে আরও ১০ হাজার টাকা দাবি। স্বামীর সেই দাবি মেটাতে না পারায় কী খুন হতে হল এক গৃহবধূকে? প্রশ্নটা ঘুরে বেড়াচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানার চকমির এলাকায়। মৃত গৃহবধূ সুমন পোদ্দারের সঙ্গে দেড় বছর আগে বিয়ে হয় মহেশতলা এলাকার বাসিন্দা অবিনাশ পোদ্দারের। তাঁদের ৩ মাসের একটি শিশুপুত্রও আছে।

মৃত বধূর পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকেই বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হত তাঁদের মেয়ের উপর। সন্তান জন্মানোর পরেও বদলায়নি মেয়ের উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের মাত্রা। তাঁদের অভিযোগ, গত বুধবার দুপুরবেলা পণ নিয়ে অশান্তির জেরে সুমন পোদ্দারের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় শ্বশুরবাড়ির লোক। অথচ মেয়ের অগ্নিদগ্ধ হওয়ার খবর রাতের দিকে বাপের বাড়িকে ফোনে জানানো হয় বলে দাবি মৃত বধূর বাড়ির লোকের। অগ্নিদগ্ধ সুমন পোদ্দারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে। সেখানে গত শুক্রবার মৃত্যু হয় তাঁর।

মৃতার পরিবার পণের দাবিতে মেয়েকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ দায়ের করে থানায়। তদন্তে নেমে সুমন পোদ্দারের স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ফেরার আরও ৩ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি জারি রেখেছে পুলিশ।

Share
Published by
News Desk

Recent Posts