State

সেই খুন করেছে, পুলিশের কাছে স্বীকার করল মুরশিদা বিবি

Published by
News Desk

২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই রহস্যের জট খুলে গেল বারুইপুর জোড়া খুন রহস্যের। বৃদ্ধা মা ও সদ্যোজাত মেয়েকে সে নিজে হাতে খুন করেছে বলে স্বীকার করে নিল মুরশিদা বিবি। কার্যত পুলিশের ম্যারাথন জেরার কাছে হার মানতে হয় তাকে।

পুলিশ সূত্রের খবর, রাগের মাথায় এই কুকীর্তি করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে মুরশিদা। গতকাল রাতে বারুইপুরের চক্রবর্তী আবাদ এলাকায় পানাপুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছিল ষাটোর্ধ সায়রা বেগমের দেহ। কিছুটা দূরে প্রতিবেশির বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে পাওয়া যায় বিধ্বস্ত মুরশিদাকে। নিখোঁজ ছিল তার ২০ দিনের মেয়ে।

এদিন দুপুরে পানাপুকুরে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। উদ্ধার হয় নিথর শিশুর দেহ। কে বা কারা এমন নৃশংস ঘটনা ঘটাল তা নিয়ে জোরকদমে তদন্ত শুরু হয়। মুরশিদার স্বামীকে জেরা করার পর জানা যায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য। মেয়ে হবার পর থেকে তার দেখাশোনা নিয়ে অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে মুরশিদা। এরপর সমস্ত ধোঁয়াশা কেটে যায় মুরশিদা জবানবন্দি দেওয়ার পর।

গতকাল রাতে শিশুকে খাওয়ানো নিয়ে মায়ের সঙ্গে তুমুল ঝামেলা হয় মুরশিদার। রাগের মাথায় সে শাবল দিয়ে বেশ কয়েকবার আঘাত করে তার মাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সায়রা বেগমের। এরপর দুধের শিশুর গলা টিপে খুন করে মুরশিদা। ২টো দেহকে সেই পুকুরে ফেলে দেয়। আত্মগোপন করতে প্রতিবেশির ফাঁকা বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে নিজের পায়ে কাপড় বেঁধে লুকিয়ে থাকে। দমবন্ধ হয়ে আসায় অসুস্থ হয়ে পড়ে মুরশিদা। তবে এই ঘটনায় আর কারা জড়িত তা নিয়ে আরও তদন্ত করছে পুলিশ।

Share
Published by
News Desk