State

স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে ফুঁসছে সোনারপুর, রেল-সড়ক অবরোধ, থানায় বিক্ষোভ

Published by
News Desk

সোনারপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি ও দোকানের মালিক দীপক দেবনাথকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সোমবার সকাল থেকেই ফুঁসছে গোটা সোনারপুর। বেলা বাড়লে সেই উত্তেজনার আগুনই নেমে আসে রাস্তায়। অবরোধ করা হয় রাস্তা। ঘেরাও করা হয় থানা। সোনারপুর থানার সামনে স্বর্ণব্যবসায়ীরা নিরাপত্তা ও ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশের সঙ্গে কিঞ্চিত ধস্তাধস্তিরও ঘটনা ঘটে। যদিও দাবি না মেটা পর্যন্ত তাঁরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশ আধিকারিকরা বেরিয়ে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। এদিকে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ সোনারপুর রেল স্টেশনেও শুরু হয় অবরোধ। রেল অবরোধের জেরে থমকে যায় একের পর এক লোকাল ট্রেন। সপ্তাহের প্রথম দিনে প্রবল সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। এই গরমে ভিড় ট্রেনে ঠায় বসে অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের। কেউ কেউ ট্রেন থেকে নেমে সড়কপথে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টাও করেন। এদিকে অবরোধকারীরা সাফ জানিয়ে দেন দিনের পর দিন সোনারপুরে দুষ্কৃতী তাণ্ডব চলছে। তাঁদের অভিযোগের আঙুল পুলিশের দিকে। পুলিশ যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেই দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বাড়ছে বলে দাবি তাঁদের। এদিকে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার মত ব্যস্ত লাইনে শুধু বজবজ লাইন ছাড়া সব লাইনে ট্রেন থমকে যাওয়ায় ঘটনাস্থলে হাজির হন রেল আধিকারিকরাও। আসে পুলিশ। প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ চলার পর অবশেষে ট্রেন অবরোধ উঠে গেলেও সোনারপুর থানায় বিক্ষোভ চালিয়ে যান বিক্ষোভকারীরা। এদিন সোনারপুরের অনেক দোকানও বন্ধ ছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, গত রবিবার সন্ধ্যায় সোনারপুরের একটি সোনার দোকানে ৭ জনের একটি ডাকাতদল ক্রেতা সেজে ঢোকে। দোকানে ঢুকেই ক্রেতাদের মাটিতে বসে পড়ার নির্দেশ দেয়। ৪ জনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। ৩ জনের হাতে ছিল চপার। এরপর দোকানের শো-কেস ভেঙে সোনার জিনিস লুঠ করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় দোকানের মালিক দীপক দেবনাথকে গুলি করে। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে রবিবার রাতেই সোনারপুর থেকে বাংলাদেশি যুবক লাবলু সর্দারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাসন্তীর ঢুরি থেকে মঞ্জিলা খান নামে এক মহিলা ও তার স্বামী আতিয়ার রহমান লস্করকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

Share
Published by
News Desk