কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মিত চিত্রে বাঙালি খাবার, প্রতীকী ছবি
মুখেভাত শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক শিশুর মুখ। যার দুধের দাঁত হয়তো দেখা দিয়েছে। অন্নপ্রাশন ঘিরে আত্মীয় পরিজনের ভিড়ও জমে। এই অন্নপ্রাশনেও ভিড় জমল পরিবারের সকলের।
যাঁর অন্নপ্রাশন হল তাঁর দুধের দাঁতও দেখা গেছে। তাই এই মুখেভাতের আয়োজন। কিন্তু শিশুর সঙ্গে এঁর ফারাক একটাই। এনার মুখেভাত হল ১০০ বছর পার করে। জীবনে ২ বার মুখেভাত হল তাঁর।
জন্মের পর সকলের যেমন মুখেভাত হয় তেমন হওয়ার পর একজন মানুষের জীবনে আর মুখেভাতের সুযোগ থাকেনা। ইনি সেখানেই ব্যতিক্রম। তাঁর দ্বিতীয় মুখেভাত হল ১০২ বছর বয়সে পৌঁছে।
কারণ এই ১০২ বছরের বৃদ্ধের মাড়ির ফাঁকে ৩টি ছোট ছোট দাঁত দেখতে পাওয়া গেছে। নতুন করে তাঁর মাড়িতে দাঁত গজিয়েছে। এটা তাঁর নাতি নাতনিদের নজরে পড়ার পরই তাঁর মুখে ভাত করার কথা মাথায় আসে সকলের।
কোচবিহারের হলদিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা এই শতবর্ষ পার করা বৃদ্ধ নৃপেন্দ্র বর্মণের এই মুখেভাতে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফ কর্তারাও। আর ছিলেন পরিবারের সকলে। ছিলেন গ্রামের মানুষজন।
আত্মীয় পরিজন নিয়ে এক জমজমাট আয়োজনে পালিত হল নৃপেন্দ্রবাবুর এই অন্নপ্রাশনের উৎসব। কারও মুখেভাতে যে তাঁর নাতি নাতনিরাও আনন্দ করতে পারেন এটা অতি বিরল ঘটনা।
সেটাই দেখা গেল এই হলদিবাড়ি গ্রামে। গ্রামে দাদু বলে পরিচিত এই শতায়ু মানুষটিও বেশ উপভোগই করলেন তাঁকে ঘিরে এই মুখেভাতের আয়োজন।