উদ্ধার হওয়া অতি বিরল প্রাণি ব্যাম্বু ব়্যাট, নিজস্ব চিত্র
এ প্রাণি থাকে বাঁশবনে। কচি বাঁশের মধ্যে যে নরম অংশ থাকে সেটাই এদের খাদ্য। বাঁশের মধ্যে ঢুকেই এদের অনেকটা সময় কেটে যায়। এরা কিন্তু একা থাকেনা। থাকে দল বেঁধে। আর সেখানেই সবচেয়ে বড় খটকাটা লাগছে বন দফতরের আধিকারিকদের।
বন দফতর এটা নিশ্চিত করেই জানাচ্ছে এ প্রাণি এ রাজ্যের মাটিতে এই প্রথম। এর আগে কোনও জঙ্গল তো নয়ই, এমনকি রাজ্যের কোথাও তার দেখা কখনও মেলেনি। অতি বিরল প্রজাতির তালিকায় এর নাম রয়েছে।
সেই প্রাণি এভাবে উত্তরবঙ্গের বৈকুন্ঠপুর ফরেস্ট ডিভিশনের অন্তর্গত অম্বরি ফালাকাটা রেঞ্জের জঙ্গলে এল কোথা থেকে তার কূলকিনারা পাচ্ছেনা দফতর। বন দফতরের আধিকারিকরা আরও বেশি অবাক এই প্রাণিকে একা দেখে। এরা একা থাকার প্রাণিই নয়। সর্বদা দলে ঘোরে।
এদের বলা হয় ব্যাম্বু ব়্যাট বা বাঁশ ইঁদুর। যেহেতু এরা বাঁশের শাঁস খেয়ে বেঁচে থাকে তাই এদের এমন নাম। বাঁশ ইঁদুরের ইঁদুরদের মত চেহারা হলেও মুখটা ইঁদুরদের থেকে আলাদা।
এমন এক প্রাণি বাংলায় প্রথম দেখা গেল তাও আবার একা! ফলে ভেবে কিনারা করতে পারছেন না বন দফতরের আধিকারিকরা। তবে বাঁশ ইঁদুরটিকে তাঁরা উদ্ধার করেছেন। সযত্নে তাকে রাখাও হয়েছে।
নিয়ম মত বন দফতর কোনও প্রাণিকে উদ্ধারের পর তার শারীরিক পরীক্ষা করে সে যে ধরনের জায়গায় থাকতে পছন্দ করে তেমন জঙ্গলে তাদের ছেড়ে দিয়ে আসা হয়। এক্ষেত্রে সেটাই করে উঠতে ভয় পাচ্ছে দফতর।
কারণ এই বাঁশ ইঁদুররা দলবদ্ধভাবে ঘোরে। একা কখনও ঘোরে না। তাই বন দফতর মনে করছে এভাবে উদ্ধার হওয়া বাঁশ ইঁদুরকে একা ছেড়ে দিলে তা অন্য কোনও জন্তুর খাদ্য হয়ে যেতেই পারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা