State

ঘরে আটকে পড়েছি, ফোন করে জানাল বুদ্ধিমান কুকুর

সে যে ঘরে আটকে পড়েছে তা কারও পক্ষে জানার উপায় ছিলনা। শতবার ডাকলেও কেউ আসতেন না। তাই সে ফোন করল ওই ঘর থেকে।

Published by
News Desk

সন্ধে নামার পর পঞ্চায়েত অফিসে তালা পড়ে যায়। যে যাঁর বাড়ি ফিরে যান। ঠিক তেমনই হয়েছিল হুগলির গুপ্তিপাড়া ১ পঞ্চায়েত অফিসে। অফিস ঘরের আলো নিভিয়ে দরজায় তালা ঝুলিয়ে সব কর্মী বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু সেই ঘরে যে এক সারমেয় আটকা পড়েছে তা কেউ জানতেও পারেননি।

এদিকে দরজা যে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তা ওই কুকুরটিও হয়তো বুঝে উঠতে পারেনি। যখন বুঝতে পারে তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। কিন্তু সেই বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার সে পাবে কীভাবে?

এখানে ডাকলেও তো কেউ সারা দিচ্ছেনা। তাহলে উপায়! উপায় একটাই ফোন করা। কিন্তু সে উপায় একজন মানুষের মাথায় আসতে পারে। কুকুরের মাথায় কীভাবে আসা সম্ভব?

সম্ভব যে তা প্রমাণ হয়ে গেল গুপ্তিপাড়ার এক অবিশ্বাস্য ঘটনায়। পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান বিশ্বজিৎ নাগের বাড়িতে একটি ফোন যায়।

বিশ্বজিৎবাবু ফোনটি দেখেই বুঝতে পারেন পঞ্চায়েত অফিসের ল্যান্ডলাইন থেকে ফোনটি আসছে। কিন্তু অফিসে তো তালা! এই সময় ফোনের ওপার থেকে তিনি একটি কুকুরের একটানা ডাক শুনতে পান। ডাকের মধ্যে একটা যন্ত্রণা লুকিয়ে ছিল।

বিশ্বজিৎ নাগ আর দেরি করেননি। পঞ্চায়েত অফিসে যে কিছু একটা হয়েছে তা আন্দাজ করে তিনি তখনই কয়েকজনকে নিয়ে ছোটেন অফিসে। তারপর তালা খুলতেই ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে কুকুরটি।

স্থানীয় পথকুকুরটি পরিচিত। সে মুক্তি পেয়ে দ্রুত বেরিয়ে রাস্তার দিকে চলে যায়। ভিতরে প্রবেশ করে বিশ্বজিৎবাবু বুঝতে পারেন পঞ্চায়েত অফিসের ফোন থেকেই তাঁর কাছে ফোনটি গিয়েছিল।

এই খবর ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি। একটি কুকুর যে নিজেকে মুক্ত করতে এভাবে ফোন করতে পারে তা এখনও অনেকে বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না। ঘটনাটি ঘটেছে কয়েকদিন আগে। কিন্তু এখনও সেই কাহিনি মুখে মুখে ঘুরছে স্থানীয় মানুষের।

Share
Published by
News Desk