নির্বাচনে জয়ের পর তৃণমূলের বিজয়োৎসব, ছবি - আইএএনএস
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগণনা সময়সাপেক্ষ। তা শেষ হতে একটা দিনও কম পড়ে। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের জেলাপরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। জেলায় জেলায় গণনা চলছে জোরকদমে। এই ভোটে ব্যালটপেপার ব্যবহার হওয়ায় ভোটগণনা আরও সময়সাপেক্ষ হয়। তারমধ্যেই সবুজ ঝড়ের ইঙ্গিত কিন্তু বেশ স্পষ্ট।
এদিন গণনার শুরু থেকেই তৃণমূলের দাপট পরিস্কার ছিল। দিন যত গড়িয়েছে ততই সংখ্যার নিরিখে তৃণমূল এগিয়েই যেতে থেকেছে। তবে বিজেপি ও সিপিএম অনেক জায়গায় কিছুটা হলেও টক্কর দিয়েছে।
তারমধ্যেই উত্তরবঙ্গে এবার কিন্তু তৃণমূলের দাপট আরও বেড়েছে। দার্জিলিংয়েও তৃণমূলের সঙ্গীরা ভাল অবস্থায়। আলিপুরদুয়ার হোক বা কোচবিহার, সর্বত্রই ভাল ফল করেছে তৃণমূলই।
বিজেপি নেতৃত্ব উত্তরবঙ্গে ভাল ফল নিয়ে আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবে দেখা গেলনা। প্রসঙ্গত ভোটের দিন কোচবিহারে বড় অশান্তির খবর সামনে আসে। মুর্শিদাবাদও ভোটের দিন জ্বলছিল। প্রাণও যায় সেখানে। সেখানেও তৃণমূল ভাল ফল করছে।
এর মধ্যেই টুকটাক ঘটনা গণনার মাঝেই নজর কেড়েছে। কাকুরিয়া পঞ্চায়েতে সিপিএম প্রার্থী গীতা হাঁসদা ২৩ ভোটে জেতার পর গণনাকেন্দ্রেই দাঁড়িয়ে তৃণমূলে যোগ দেন।
উত্তপ্ত বাসন্তীর মোকাম বেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছে। সেখানে জয়লাভ করেছে বিজেপি। বিজেপি কর্মীরা সেজন্য গেরুয়া আবির নিয়ে আনন্দ করছিলেন। সেই সময় পুলিশের গায়ে গেরুয়া আবির ছোঁড়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। পুলিশ তাড়া করলে বিজেপির কয়েকজন কর্মী পুকুরে ঝাঁপ দেন।
অন্যদিকে বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি-র গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল তা অস্বীকার করেছে।
এদিকে নদিয়ার তেহট্টে বিজয় মিছিল করার সময় তৃণমূলের সেই মিছিলে কেন্দ্রীয়বাহিনী লাঠি চার্জ করে বলে অভিযোগ। তাতে আহত হন তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা।
এছাড়া বিভিন্ন জেলা থেকে টুকটাক অশান্তির খবর এসেছে। কোথাও বোমাবাজি, কোথাও হাতাহাতির খবর এসেছে। তবে মোটের ওপর গণনা যত এগিয়েছে ততই তৃণমূল শিবিরের হাসি চওড়া হয়েছে।