ফাইল : হিমালয়ান কালো ভাল্লুক, ছবি - আইএএনএস
নভেম্বর মানে পশ্চিমবঙ্গে হেমন্তের পরশ। তবে সেই হেমন্তের স্পর্শ ছাপিয়ে অনেক জায়গায় দ্রুত ঠান্ডাও পড়ে যায়। বিশেষত রাজ্যের উত্তরভাগে হিমালয় সংলগ্ন অঞ্চলে আগেই ঠান্ডা পড়তে শুরু করে। উত্তরবঙ্গের হিমালয় লাগোয়া বিশাল অঞ্চল জুড়ে রয়েছে পাহাড় আর জঙ্গল। রয়েছে একের পর এক চা বাগান।
এই সময় পাহাড়ে ঠান্ডা পড়তে শুরু করলে এখানে বসবাসকারী এশিয়াটিক কালো ভাল্লুকরা ক্রমে নিচের দিকে নেমে আসে। চলে আসে তরাই ও ডুয়ার্সের দিকে। যেখানে মূলত রয়েছে চা বাগান। আর চা বাগান মানে তার গা ঘেঁষে স্থানীয়দের ছোট ছোট বসতি গড়ে ওঠে।
ভাল্লুকগুলি পাহাড় থেকে শীতের সময় নেমে এসে এই সব বসতি ও চা বাগানে মাঝেমধ্যেই দেখা দেয়। যা মানুষ ভাল চোখে নেয় না। ভাল্লুকরা ক্ষতিও করে দেয়। বন দফতর তাই এর থেকে মুক্তির একটি উপায় বার করেছে।
বন দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ রাজ্যে বসবাসকারী এই ভাল্লুকদের গলায় একটি করে রেডিও কলার পরিয়ে দেওয়া হবে। এতে যেমন তাদের সংখ্যা পরিস্কার হবে সরকারের কাছে। ঠিক তেমনই তাদের গতিবিধি কৃত্রিম উপগ্রহ মারফত সব সময় নজরে রাখতে পারবে কন্ট্রোল রুম।
তাই যদি শীতের সময় কোনও ভাল্লুককে কোনও বসতির দিকে আসতে দেখা যায় তাহলে আগেভাগেই মানুষকে রক্ষার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে।
তবে এই রেডিও কলার প্রতিটি ভাল্লুককে খুঁজে খুঁজে বার করে পরানোর কাজ বন দফতর নিজে করছেনা। তারা এজন্য জার্মানির বিশেষজ্ঞদের দায়িত্ব দিচ্ছে।