প্রতীকী ছবি
এক মর্মান্তিক সংবাদের সাক্ষী হল গোটা রাজ্য। কলকাতার ইতিহাস প্রসিদ্ধ হেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন সুনীল কুমার দাস। ২০১৯ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। ওই বছরই তিনি রাজ্যসরকারের তরফ থেকে পান শিক্ষারত্ন সম্মান। যা তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদ থেকে অবসর নিলেও সুনীলবাবু একাধিক স্কুলে পড়িয়েছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অবদানও কম নয়। অবসর গ্রহণ করার পর তিনি ফিরে যান তাঁর পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাজ বাগান এলাকার বাড়িতে। তারপর থেকে সেখানেই অবসর জীবন কাটাচ্ছিলেন তিনি।
কিন্তু ৩ বছর হয়ে গেলেও পেনশন না পাওয়ায় তিনি মানসিক অশান্তিতে ভুগছিলেন। তিনি নিজে প্রকাশ না করলেও তা তাঁর পরিবারের চোখে ধরা পড়ছিল। বিশেষত তাঁর স্ত্রী বিষয়টি বুঝতে পারছিলেন।
বুধবার ওই মেমারির বাড়িতেই তাঁর দেহ উদ্ধার হল। ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে তাঁর ঘরে পাওয়া যায়। মানসিক অবসাদ থেকেই মাস্টারমশাই সুনীল কুমার দাস এই চরম পদক্ষেপ করলেন বলে মনে করছেন পরিবার থেকে আশপাশের মানুষ।
তাঁর এই মৃত্যু কার্যত মেনে নিতে পারছেন না কেউই। গোটা এলাকা শোকাচ্ছন্ন। অবসরের পরও তিনি আশপাশের অনেককে পড়াশোনা দেখিয়ে দিতেন বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। পুলিশ দেহ উদ্ধার করেছে। সুনীলবাবুর স্ত্রী, ২ মেয়ে ও ১ ছেলে আছেন।