State

চম্পাহাটিতে বাজি কারাখানায় বিধ্বংসী আগুন

দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটিতে বাজি কারখানায় বুধবার বেলায় আগুন লেগে যায়। আগুন অতিদ্রুত ছড়াতে তাকে। আগুনে আশপাশের এলাকার মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

Published by
News Desk

কলকাতা : এ রাজ্যে আতসবাজির হাব যদি বলতে হয় তো সেটা অবশ্যই চম্পাহাটি। বারুইপুরের অন্তর্গত চম্পাহাটি সেখানকার বাজি শিল্পের জন্য বিখ্যাত। কালীপুজো ও দিওয়ালীর আগে সেখানে প্রতি বছরই বাজির বাজার বসে। কিছুটা কম খরচে বাজি কিনতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমান চম্পাহাটিতে।

সেই চম্পাহাটিতেই একটি বাজি কারখানায় বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ একটি বিস্ফোরণ হয়। তারপর আগুন দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে।

আগুন খুব দ্রুত ছড়ায়। আশপাশের বেশ কয়েকটি দোকানও সেই আগুনের লেলিহান শিখার আওতা এসে পড়ে। এদিন সকালেই কিছু মানুষ বাজি কিনতে এসেছিলেন এখানে। তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

দমকলের ২টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। আশপাশ খালি করে দেওয়া হয়। আগুনের জেরে বিভিন্ন বাজি পুড়তে থাকে। তা থেকে কুণ্ডলী পাকানো কালো ধোঁয়ায় আকাশ ছেয়ে যায়। দূর দূর থেকে সেই ধোঁয়া দেখতে পাওয়া গেছে এদিন।

স্থানীয় মানুষ অনেকেই ছুটে আসেন আগুন লাগার খবর পেয়ে। দমকলের তৎপরতায় অবশ্য আগুন খুব বেশি আশপাশে ছড়াতে পারেনি। তবে কারখানাটি ভস্মীভূত হয়ে গেছে।

আগুন লাগার কারণ এখনও পরিস্কার নয়। দমকলের তরফে আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রচুর বাজি মজুত থাকায় আগুনের সামান্য স্ফুলিঙ্গও পুরো কারাখানা জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। সেই আগুন কোথা থেকে এল তা কারও কাছে পরিস্কার নয়।

এদিকে এদিন উত্তরপ্রদেশেরও একটি বাজি কারাখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ২ জনের মৃত্যুও হয়েছে। চম্পাহাটির ঘটনায় অবশ্য হতাহতের খবর নেই।

এ বছর বাজির বাজারে অবশ্য ভাটার টান। এরমধ্যেই গত মঙ্গলবার রাজ্যসরকারের তরফে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীর কাছে এবার কালীপুজো ও দিওয়ালীতে বাজি পোড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।

এটাও বলা হয়েছে যে বাজির থেকে তৈরি ধোঁয়া পরিবেশে দূষণ বৃদ্ধি করে। যা করোনা সংক্রমিত মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তাই তাঁদের কথা মাথায় রেখে এবার বাজি পোড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান আলাপনবাবু।

Share
Published by
News Desk