State

ইটবৃষ্টি, পুলিশের গাড়িতে আগুন, পাল্টা কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ, উত্তাল জনজীবন

পুলিশ অবরোধ তোলার চেষ্টা করতেই পাল্টা পুলিশের দিকে তেড়ে আসেন ধর্মঘটীরা। বিশাল সংখ্যক ধর্মঘটী পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টিও শুরু করেন।

Published by
News Desk

মালদায় কংগ্রেসের ভাল প্রভাব রয়েছে। ফলে বুধবার সকাল থেকেই মালদার জনজীবনে বন্‌ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছিল। বাস, গাড়ি ছিল খুবই কম। দোকানপাটও খুব বেশি খোলেনি। তারমধ্যেই মালদার কালিয়াচকের সুজাপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন ধর্মঘটীরা। মূলত কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরাই অবরোধ করেন। অবরোধ চলতে থাকে অবাধেই। দেড় ঘণ্টা এভাবে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ থাকার পর অবশেষে পুলিশ এসে অবরোধ তোলার চেষ্টা করে।

পুলিশ অবরোধ তোলার চেষ্টা করতেই পাল্টা পুলিশের দিকে তেড়ে আসেন ধর্মঘটীরা। বিশাল সংখ্যক ধর্মঘটী পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টিও শুরু করেন। পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পুলিশকে তাড়াও করেন তাঁরা। এই অবস্থায় পাল্টা পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে ধর্মঘটীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। ফলে শুরু হয় হুলস্থূল। পুলিশ এরপর লাঠিচার্জ করে ধর্মঘটীদের হটিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। দীর্ঘক্ষণ এমন চলার পর অবশেষে ধর্মঘটীরা কিছুটা পিছু হটেন। ততক্ষণে অবশ্য জাতীয় সড়ক ইটের টুকরোয় ভরে গিয়েছে।

হলদিয়াতেও এদিন নাছোড় ধর্মঘটীদের পথ অবরোধ তুলতে পুলিশকে মৃদু লাঠিচার্জ করতে হয়। অশান্তি হয় সিউড়িতেও। গ্রেফতার হন সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ রামচন্দ্র ডোম। বুধবার অশান্তি কিন্তু দিনভরই পিছু ছাড়েনি। এক জায়গায় অশান্তি একটু নিয়ন্ত্রণে এলেও অন্য জায়গায় অশান্তি হয়েছে। কোথাও স্কুল বন্ধ করার চেষ্টা হয়েছে, কোথাও দোকান। ধর্মঘটীদের তাণ্ডবে চরম হয়রানির শিকার হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।

Share
Published by
News Desk