State

ঢালাও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন বাগদার বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস

বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে প্রচার চালাচ্ছেন অন্তত রাত ১০টা পর্যন্ত। ব্রেকফাস্ট বলতে একটা রুটি এবং খুব অল্প পরিমাণ তরকারি। দুপুরে বরাদ্দ ভাত ও টকডাল। রাতে রুটি ও তরকারি।

Published by
Arnab Dutta

উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা বিধানসভা কেন্দ্র তফশিলি জাতির প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত। এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন ২০১১ এবং ২০১৬ সালের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। মূলত, বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর সঙ্গে বিরোধের জেরে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ে। এর জেরে দলত্যাগ এবং বিজেপিতে যোগদান।

বিশ্বজিৎবাবু জানালেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস গঠনের পর কংগ্রেস ছেড়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। ২০০৮ সালে বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২ বার বিধায়ক হয়েছেন। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস ক্রমশ দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ায় কাজ করতে পারছিলেন না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি।

আগামী ২২ এপ্রিল বাগদা বিধানসভায় নির্বাচন। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ ব্রেকফাস্ট সেরে প্রচারে বেরিয়ে পড়ছেন বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎবাবু। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে প্রচার চালাচ্ছেন অন্তত রাত দশটা পর্যন্ত। ব্রেকফাস্ট বলতে একটা রুটি এবং খুব অল্প পরিমাণ তরকারি। দুপুরে বরাদ্দ ভাত ও টকডাল। রাতে রুটি ও তরকারি।

২০১৬ সালে জয়ের মার্জিন ছিল ৩৫ হাজার। বিশ্বজিৎবাবুর দাবি, ২১-এর নির্বাচনে তিনি অন্তত একলক্ষ ভোটে জিতবেন। এর কারণ তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা বাগদায় উন্নয়নের কাজ সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন ছিলেন। যেমন, প্রচুর সংখ্যক কৃষক বাগদায় বসবাস করলেও এখানে কোনও হিমঘর নেই। বাগদা হাসপাতালে নামমাত্র চিকিৎসা জোটে, এমনকি বাগদায় নেই দমকলের কোনও কেন্দ্র।

বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎবাবুর অভিযোগ, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর কোদালিয়া, ইছামতী নদীর সংস্কার হয়নি। ফলে বছরের পর বছর বন্যার কবলে পড়ছেন বাগদার মানুষ।

বিশ্বজিৎবাবুর দাবি, প্রচারে বেরিয়ে ভোটারদের কাছ থেকে ভালো সাড়া মিলছে। জিতলে এলাকায় উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি।

বিশ্বজিৎবাবুর কথায়, বাগদায় কোনও রেলস্টেশন নেই। বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করলে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন জানাবেন বাগদা থেকে বনগাঁ পর্যন্ত রেল সংযোগ চালু করার। এতে বাগদার মানুষের কলকাতা যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিরাট সুবিধা হবে।

বিশ্বজিৎবাবুর আরও অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে এলাকায় ব্যাপক সন্ত্রাস চলেছে। বিধ্বংসী আম্ফানের পর মানুষের পাশে না থেকে তৃণমূল নেতারা কাটমানি খেয়েছেন। স্থানীয় অটো এবং টোটো চালকদের কাছ থেকেও বিপুল পরিমাণ টাকা তোলা আদায় করেছেন তৃণমূল নেতারা। এবার এই পরিস্থিতির বদল চাইছেন বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটাররা।

Share
Published by
Arnab Dutta

Recent Posts