State

জনসংযোগই ভরসা তৃণমূল প্রার্থী কল্লোল খাঁর

তৃণমূল কংগ্রেস গঠনের পরই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান। তৃণমূলের টিকিটে ইতিমধ্যে ৪ বার বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

Published by
Arnab Dutta

নদিয়া জেলার নাকাশিপাড়া বিধানসভা কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। নাকাশিপাড়া থেকে চলতি বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কল্লোল খাঁ। পারিবারিক সূত্রে রাজনীতি কল্লোলবাবুর রক্তে রয়েছে। কল্লোলবাবু জানালেন, তাঁর বাবা জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন দীর্ঘদিন। ৭০ দশকে কলেজে পড়াকালীন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন তিনি। দীর্ঘদিন কংগ্রেস করেছেন। কংগ্রেসের হয়ে ২ বার বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে পরাজিত হন।

জানা গেল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস গঠনের পর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত কল্লোলবাবু। ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে ৪ বার বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০১, ২০০৬, ২০১১ এবং ২০১৬ সালে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন কল্লোল খাঁ।

আগামী ১৯ এপ্রিল তৃণমূল প্রার্থী কল্লোলবাবুর সমর্থনে নদিয়া জেলায় সভা করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এবারও জয় নিয়ে কোনও সংশয় নেই বলেই দাবি করলেন কল্লোলবাবু। জেতার ব্যাপারে তিনি পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী।

এই আত্মবিশ্বাসের কারণ হিসাবে কল্লোলবাবু জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় গত ১০ বছরে নাকাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে যথেষ্ট উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। নতুন কলেজ তৈরি করা হয়েছে, স্থানীয় হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নত করা হয়েছে, সারি নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে সেতু, স্থানীয় কৃষকদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে ২টি কৃষিমান্ডি গঠনের মতো বেশ কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে। চলতি বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর উন্নয়নমূলক যে কাজগুলি এখনও অসমাপ্ত, সেই উদ্যোগগুলি বাস্তবায়িত করা হবে বলে জানান তৃণমূল প্রার্থী।

কল্লোলবাবুর অভিযোগ, নাকাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার আগে কোনও উন্নয়নের কাজ হয়নি। এছাড়া বামেদের ঔদ্ধত্যে জেরবার ছিলেন এলাকার মানুষ। সেই পরিস্থিতির বদল হয়েছে অনেকদিন। এলাকার মানুষের সুখেদুঃখে তিনি পাশে আছেন বলেও দাবি কল্লোলবাবুর। জানালেন কেউ ফোন করলে ব্যস্ততার কারণে যদি ফোন না ধরতে পারেন, অচেনা নম্বর হলেও তিনি কল ব্যাক করেন। ধারাবাহিকভাবে মানুষের পাশে আছেন বলেই মানুষ তাঁকে আশির্বাদ করছেন বলে মত কল্লোলবাবুর।

৬৫ বছর বয়স কল্লোলবাবুর। যদিও বয়সের কারণে পরিশ্রমে ছেদ পড়েনি। বর্তমানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লাগাতার প্রচার করছেন। প্রচার সভাগুলিতে মহিলাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। শঙ্খ বাজিয়ে, উলুধ্বনি এবং পুষ্পবৃষ্টির মাধ্যমে মহিলারা তৃণমূল প্রার্থী কল্লোলবাবুকে স্বাগত জানাচ্ছেন।

আগামী ২২ এপ্রিল নাকাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির শান্তনু দেব এবং সিপিএম প্রার্থী শুক্লা সাহা চক্রবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

Share
Published by
Arnab Dutta

Recent Posts